বেনাপোল প্রতিনিধি : রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বশেষ শহীদ মো. আব্দুল্লাহ’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত মো. আব্দুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘ ৯৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।
যশোহরের বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের মেধাবী ছাত্র আব্দুল্লাহ’র বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে গরিব বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে তিনি ঢাকার শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভর্তি হন। দেখতে দেখতে পার হয়ে যায় ৩ বছর। নিয়তি তাঁকে আর এগুতে দেয়নি।
দিনমজুর বাবা আব্দুল জব্বারের ছোট ছেলে ছিলেন তিনি। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন আব্দুল্লাহ। ঢাকায় একমাত্র বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেয়া আব্দুল্লাহ গত ৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হন। এরপর প্রায় ৩ মাস একটানা মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করে গতকাল ১৪ নভেম্বর শহিদের মর্যাদা নিয়ে চলে যান পরপারে।
আজ শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রীয় বিশেষ মর্জদায় গার্ড অব অনার শেষে বেনাপোলের বড় আশা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে আব্দুল্লাহ’র দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে তার জানাজায় অংশ নেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবিরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ বেনাপোলের সর্বস্তরের মানুষ।