চৌগাছা প্রতিনিধি : রহিমা খাতুনের ১০ বছরের সংসার। ২০১২ সালে বিয়ে। ৬ বছর বয়সী ছেলে মেহেদী হাসানকে নিয়ে সুখেই ছিলেন স্বামী শিপন আলীর ঘরে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে রহিমার বাবা শিপনের পরিবারকে নগদ ৩ লাখ টাকা দেন। এছাড়া সংসার সাজানোর জন্য সাইকেল, মোবাইল ফোন, পালঙ্ক, ফ্যানসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করেন। তবুও আরও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি নিয়ে শুরু হয় উভয় বিরোধ। গত এক বছর ধরে আলাদা থাকছিলেন তারা। এরইমধ্যে উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিয়ে বিচ্ছেদ করে স্বামীর কাছ থেকে ভোরণ পোষণ বুঝে নেয়ার জন্য আবেদন করেন রহিমা। বিবাদী করেন শিপন, তার পিতা নূর ইসলাম, মা জাহানারা বেগম, মামা শফিকুল এবং ছোটভাই রুবেল হোসেনকে। রহিমার বাবার পক্ষ কিছুতেই রহিমাকে স্বামীর ঘরে দেবেন না। পরে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে শুনানি করে স্বামী-স্ত্রী এবং উভয় পরিবারের মাঝে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা। এ সময় উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা সেখানে ছিলেন। এ সময় স্বামী-স্ত্রী এবং উভয় পরিবার বিষয়টি মেনে নিয়ে একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) যশোরের চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে এ ঘটনা ঘটে।
রহিমা উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে এবং শিপন উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
এ বিষয়ে রহিমা ও শিপন উভয়েই বলেন, আমাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি ছিলো তা মিটে গেছে। ইউএনও ম্যাডাম সবার সাথে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছেন। এখন থেকে আমরা একসাথেই থাকবো। এ নিয়ে আর কোন ঝামেলা হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, উভয় পরিবারের মধ্যে সৃষ্ট মতবিরোধে তারা প্রায় এক বছর আলাদাভাবে বসবাস করছেন। মেয়েটির পরিবার তাদের বিচ্ছেদ চেয়ে ভরণ পোষণের দাবিতে উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটিতে আবেদন করেন। দীর্ঘ সময় শুনানি করে তাদের বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। তারা এখন থেকে একসাথে থাকবেন বলে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন।