নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে সন্ত্রাসী রমজান আলীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে এই মামলার প্রধান আসামি রাজা ওরফে পিচ্চি রাজা। এলাকার কানা বাসার ও রাজার স্ত্রী রূপাকে ইয়াবাসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয়া এবং রকিদের বাড়ি ছাড়া করার কারণেই কয়েকজনে মিলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রমজানকে হত্যার করা হয়েছে। আদালত ও পুলিশ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
১২ মার্চ যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি শেষে বিচারক ইমরান আহম্মেদ তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। রাজা শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ার মাদক দম্পতি মজিবর রহমান ওরফে জাহাঙ্গীর—শ্যামলীর ছেলে।
পিচ্চি রাজা জানিয়েছেন, রেলগেট পশ্চিমপাড়া কলাবাগান এলাকার মাদক দম্পতি রেখা—ফায়েকের ছেলে রমজান ও সাগর। সরকারি খাসের জমি দখল করে সেখানেই তারা বসবাস করেন। কয়েক বছর আগে থেকে রমজানের সাথে পরিচয় হয় রাজা ওরফে পিচ্চি রাজার। সহকর্মী হিসেবে রাজাকে দিয়ে মাদক, অস্ত্র বিকিকিনি, বোমা তৈরি এবং চাঁদাবাজি করাতেন রমজান আলী। এভাবেই পিচ্চি রাজার উত্থান শুরু হয়।
সম্প্রতি পিচ্চি রাজার বন্ধু তুহিনের পিতা একই এলাকার কানা বাসারকে ইয়াবাসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয় রমজান আলী। শুধু তাই নয় রাজার স্ত্রী রূপাকেও ইয়াবাসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয় রমজান আলী। এছাড়া রাজার আরেক সহযোগী রকিকে এলাকার ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করে রমজান আলী। ফলে রমজানকে খুন করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়।
ঘটনার দিন ৮ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজা ও তার সহযোগি কয়েকজনে রমজানের শ^শুর বাড়ির সামনে থেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পরে রাজা পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে শার্শায় এক আত্মীয় বাড়ি আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে ১১ মার্চ বিকেলে যশোরের র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করে। গ্রেপ্তারের পর যশোর শহরের রেলগেট চোরমারা দিঘিরপাড়ে ঝোপঝাড়ের মধ্যে থেকে তার দেখানো একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি ওয়ানশুটারগানর, ১৪ রাউন্ড গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব। ওই ঘটনায়ও তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
এদিকে মামলার বিবরণে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধের জেল ধরে ৮ মার্চ রাতে যশোর শহরের রেলগেট এলাকায় রমজান আলীকে খুনের ঘটনায় তার মা রেখা খাতুন ১৩ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
