সাইফুল ইসলাম : মুসলমানের জীবনে আবার ফিরে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এ মাসে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষঙ্গ হলো ইফতারি। শুক্রবার রোজার প্রথম দিনে যশোরের অভিজাত রেস্তোরা থেকে শুরু করে শহরের ফুটপাতে সর্বত্র দেখা গেছে রকমারি ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। গতবছরের চেয়ে এবার ইফতারির দাম বাড়লেও বিক্রিতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। বিকাল থেকে শহরের বিভিন্ন ইফতারির দোকানে ভিড় জমতে শুরু করে। সময় বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় এবং বেচাবিক্রি।
সরজমিনে যশোর শহরের দড়াটানা, চিত্রা মোড়, নিউমার্কেট, ধর্মতলা, রেল স্টেশন বাজার, হাইকোর্টের মোড়, মণিহারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। টেবিলে সাজানো হরেক রকমের দেশি ভাজাপোড়া সব খাবারের সুগন্ধি ছড়াচ্ছে চারিদিকে। এসব খাবার বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিটি দোকানে দেখা গেছে ক্রেতার ভিড়। সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে শহরের নামিদামি হোটেলের সামনে। ক্রেতাদের চাপে দম ফেলার ফুসরত নেই বিক্রেতাদের। ইফতারির বিভিন্ন আইটেমের মধ্যে রয়েছে, ছোলা, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনী, চিকেন রোল, রসুনের চপ, ফুট বার্ন, ডোনাট, মিট রোল, সবজী রোল, চিকেন রোল, চিকেন বল, সবজী পাকুড়া, চিংড়ি চপ, ডিম চপ, ভেন্ডি চপ, চিকেন স্যান্ডুইচ, ক্লাব স্যান্ডুইচ, জালি কাবাব, হেলাঞ্চি চপ, কাঁচা ঝালের চপ, মাংসের চপ, মাশরুম চপ, টিকিয়া, চিকেন ফ্রাই, ফালুদা, শাহী জিলাপি, নরমাল জিলাপি, চিকেন সামুচা, হালিম, তেহেরিসহ নানা পদের মুখরোচক সব খাবার।
দড়াটানা মোড়ে ইফতার কিনতে আসা বায়জিদ মাহমুদ বলেন, ইফতারের দাম গতবছরের তুলনায় বেশি। বাড়তি দামের কারণে সব রকম ইফতারি অল্প অল্প করে কিনেছি। কিছু আইটেম বাড়ি তৈরি করা হয়। ওমর আলী বলেন, বাড়ির সবাই একসাথে ইফতার করি। দড়াটানায় প্রতিবছর রমজানে শাহী জিলাপি কিনতে আসি। এখনকার জিলাপির অন্যরকম কদর।
শহরের চিত্রামোড়ের ‘পাঁচ ফোড়ন’র ম্যানেজার আব্দুর রহমান বলেন, প্রথম রমজান হিসেবে আজ ছুটির দিন হওয়ায় বিক্রি কিছুটা কম। আশা করি সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়বে। তাছাড়া আমাদের এখানে স্পেশাল শাহী জিলাপি, মামা হালিম, জালি কাবাবসহ সব রকম ভাজা পোড়া পাওয়া যায়।
নিউ স্টার হোটেলের রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে চিকেন গ্রীল, শিক কাবাব, রেশমি জিলাপি, শাহী জিলাপি অন্যতম। ছুটির দিন হওয়ায় বিক্রি আশানুরূপ হয়নি। কাল থেকে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি।
দ্যা জাবির ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের ইফতারের পাশাপাশি রাতের খাবার ও সেহরির ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া ইফতারের সাথে রাতের খাবার যার প্যাকেজ মূল্য ২ হাজার ৬শত ৬৬ টাকা যা দু’জনে খেতে পারবেন। আর সেহেরির প্রতিটি মেন্যু ১হাজার ২০০ টাকা। কেউ সেহেরি নিতে চাইলে আগের দিন বা ঐ দিন সকালে অডার কনফার্ম করতে হবে।’