সমাজের কথা ডেস্ক : দেশের রপ্তানি আয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে রেলপথ।
দেশের রপ্তানি খাত গুটিকয়ের পণ্যে আটকে আছে। সিংহভাগ রপ্তানি দখল করে আছে তৈরি পোশাক শিল্প। অপর দিকে রপ্তানিতে পণ্যের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না সেবা খাত। মোট রপ্তানিতে সেবা খাতের অবদান এখনো ১০ শতাংশের কম। কয়েক বছর ধরে সেবা রপ্তানি ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেবা খাতে রপ্তানির মধ্যে উল্লেখযেগ্য হলো পরিবহন, নির্মাণ খাত, তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ২০২২—২৩ অর্থবছর সেবা রপ্তানিতে সবচেয়ে বেশি ১০৫ কোটি ডলার আয় এসেছে পরিবহন খাত থেকে। আকাশ, সমুদ্র, সড়ক ও রেলপথের পরিবহন মিলে এই রপ্তানি আয় এসেছে গত অর্থবছরে। এই চারটির মধ্যে আকাশপথের সেবা রপ্তানি থেকে এসেছে সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার। সমুদ্রপথে পরিবহন সেবার রপ্তানি আয় ৮৩ কোটি ডলার। সবচেয়ে পিছিয়ে রেলপথ। রেলের পরিবহন সেবা থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে মাত্র ১০ লাখ ডলার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেবা রপ্তানিতে পিছিয়ে থাকার প্রধান কারণ এ খাতে যথেষ্ট মনোযোগের অভাব। সেবার মান বিশ্বমানের না হওয়ায় রপ্তানি সে হারে বাড়ছে না। গত অর্থবছরে সেবা রপ্তানি কমার কারণ অবশ্য ভিন্ন। করোনাকালে বৈশ্বিক পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এ কারণে গত দুই অর্থবছর পরিবহন সেবা রপ্তানি থেকে বেশি আয় সম্ভব হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এ খাতের আয়ও স্বাভাবিক হয়ে আসছে। চলতি অর্থবছর পণ্য ও সেবা মিলে ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।