নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের চুড়ামনকাটিতে পূর্ববিরোধের জের ধরে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যারে করেছে দুবৃর্ত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের গোবিলা গ্রামের তরিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত শিমুল হোসেন (৪০) গোবিলা গ্রামের মোকলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আমবটতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
নিহত শিমুল হোসেনের ভাই আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ে বাড়িতে ফিরছিল শিমুল। পথিমধ্যে গোবিলা গ্রামের তরিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে পেঁৗছালে বুলবুলসহ ৪/৫জন তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাক্তার সৌমিক সাহা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশরাফ হোসেন আরও জানিয়েছেন, এলাকায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে বুলবুলসহ ৪/৫জনের সাথে তার দীর্ঘদিন থেকে গোলযোগ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে একা পেয়ে বুলবুলসহ ৪/৫জন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডাক্তার সৌমিক সাহা বলেন, শিমুলের মাথার পিছনের শিরা ধারালো বস্তুর আঘাতে কেটে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শরীরের একাধিক স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসপাতালের আরএমও পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী জানান, নিহত শিমুলের দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া তার মাথা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, হত্যার খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে এসেছেন। প্রাথমিকভাবে জেনেছেন, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তারা ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, পূর্ব কোনো শত্রুতার কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে থাকতে পারে। নিহতের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে নিহত শিমুলের স্বজনেরা হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন। তাদের আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। নিহত শিমুলের মামি আছিয়া বেগম জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। এখানে এসে ভাগ্নের লাশ দেখতে পাই।