নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর শিক্ষা বোর্ডের মূল ভবনের বারান্দায় তৈরি হচ্ছে ব্যাডমিন্টন কোর্ট। বিষয়টি বোর্ডের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছে পছন্দনীয় হচ্ছে না। কয়েকজন মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অবশ্য নির্মাণকারীদের দাবি এতে কাজের যেমন ক্ষতি হবে না তেমনি খরচও কম হবে।
যশোর শিড়্গা বোর্ডের বিভিন্ন সূত্র জানায়, সম্প্রতি শিক্ষা বোর্ডের বারান্দার কিছু অংশে পলে¯ত্মারা উঠিয়ে নতুন করে পস্নাস্টার ও রং করা হচ্ছে। সেখানে কর্মকর্তারা সকালে-বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলবেন। এর আগেই চেয়ারম্যান ও পরীড়্গা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ওঠার সিঁড়ির পাশে টেবিল টেনিস খেলার টেবিলও রাখা হয়।
যারা এ বিষয়টিকে পছন্দ করছেন না তাদের দাবি, বোর্ডে নিজেদের খেলার মাঠ আছে এবং টেনিস, ব্যাডন্টিন বা অন্যান্য খেলার জন্যে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। এত জায়গা থাকতে অফিসের বারান্দায় খেলার কোর্ট তৈরি করা দৃষ্টিকটু।
তবে কর্মকতাদের মতে, বড় বড় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মূল ভবন সংলগ্ন স্থানে বা সুবিধামতো জায়গায় ব্যাডমিন্টন কোর্ট তৈরি করে খেলাধুলা করা হয়। এতে কাজের স্পৃহা বাড়ে।
কোর্ট তৈরির দায়িত্বে থাকা বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, বোর্ডের মূল মাঠটি দূরে। সাততলা ভবনের পাশে বা পেছনে এই খেলার স্থান নির্ধারণে বোর্ড কমিটিসহ সংশিস্নষ্টদের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। সেখানে মাঠ, কোর্ট ও শেড নির্মাণে অšত্মত ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হতে পারে। এ হিসেবে বারান্দায় মাত্র ২৫ হাজার টাকা খরচ করে সহজেই খেলার আয়োজন করা যাচ্ছে। তাই বিকল্প হিসেবে এই জায়গাটিকে নির্বাচন করেছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
শিড়্গা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আহসান হাবীব দৈনিক সমাজের কথাকে জানান, প্রতি বছর মাঠে বা অন্যস্থানে খেলার কোর্ট ও ব্যবস্থাপনায় অনেক টাকা ব্যয় হয়। তবে বৃষ্টিসহ নানা করণে আর ঠিকমতো খেলাধুলা হয় না। মাঠও নষ্ট হয়। সে বিবেচনায় ঘরের মধ্যের জায়গাটি অনেক ভালো। কম খরচে সহজেই খেলা করতে পারবেন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাছাড়া এই খেলা হবে অফিস সময়ের পরে, ফলে কাজের কোনো ড়্গতি হবে না বা অফিসেরও সমস্যা হওয়ার কথা না।