সাইফুল ইসলাম : যশোর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় গৃহপালিত গবাদি পশুর যত্রতত্র বিচরণ বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনার ঝঁুকি। নোংরা করছে শহর। ব্যস্ত সড়কে হঠাৎ সামনে এসে পড়া গরু, ভেড়ার কারনে হুট করে থেমে যেতে হয় চালকদের।
তাৎক্ষণিক গতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ চালকরা হন দুর্ঘটনার শিকার। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের বিপদ সবচেয়ে বেশি। শহরজুড়ে অবাধে গরু ও ভেড়ার পাল চরে বেড়ালেও এসব নিয়ন্ত্রণে কারো মাথা ব্যাথা নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের মুজিব সড়ক, ওয়াপদা গ্যারেজ মোড়, মণিহার ঢাকা রোড, রেল রোড, পুলিশ লাইন রোড, ধর্মতলা থেকে পালবাড়ী রোড, নিউমার্কেট এলাকাসহ বিভিন্ন রাস্তায় এসব গরু চরে বেড়াই।
গতকাল সোমবার দুপুরে দেখা যায়, শহরের রেলগেট এলাকায় এক পাল গরু ঘোরাঘুরি করছে। গরুগুলো রেলগেট এলাকায় রাস্তার পাশে একটি আস্তাকুঁড়ের ময়লা খাচ্ছে এবং ময়লাগুলো চারিদিক ছড়াচ্ছে।
শহরের ব্যস্ততম আরো একটি এলাকা মহিলা কলেজ মোড়ের সামনে কয়েকটি গরু রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায়। চাঁচড়া ডালমিল এলাকায় এক পাল ভেড়া রাস্তার উপর চরে বেড়াচ্ছিল। এ সব পশুর মলমূত্র শহরের পরিবেশ নষ্ট করছে, পাশাপাশি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
শহরের রেলগেট এলাকার বাসিন্দা মুজাম্মেল হেসেন জানান, প্রতিদিন কোন না কোন রাস্তায় গরু ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কখনো কখনো ব্যস্ত সড়কে গরুগুলো শুয়েও থাকে। পাশ কাটিয়ে রাস্তা পার হতে হয় পথচারি ও যানবহনের।
অপর বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম জানান, গবাদি পশুর অবাধ বিচারণের ফলে শহরের রাস্তার মাঝে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো রয়েছে এ গাছগুলো গরুতে অনেক সময় খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে এর ফলে রাস্তার সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে।
কারবালা এলাকার বাসিন্দা মোমিত রহমান বলেন, গরুগুলো ডাস্টবিনের ময়লা চারিদিকে ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসিদুল বারি অপু জানান, গবাদিপশুর অবাধ বিচরণ রোধে কিছুদিন আগে পৌরসভা কিছু গরু আটক করে। পরে জরিমানা দিয়ে গরুর মালিকরা গরুর ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এরপর মালিকদের ডেকে পৌরসভা সতর্ক করে।
এরপরেও শহরে থামেনি গাবাদি পশুর অবাধ চলাফেরা। আলোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব কি করা যায়।