এস হাসমী সাজু : যশোর মেডিকেল কলেজে কর্মচারী নিয়োগে নিয়ম মানা হচ্ছে না। উন্নয়ন খাতের লোকবল রাজস্ব খাতে যুক্ত করার নিয়ম থাকলেও অর্থের বিনিময়ে আউটসোর্সিং কর্মীদের রাজস্ব খাতভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। রাজস্বভুক্ত করার লক্ষ্যে চতুর্থ শ্রেণির ৩৫ জনের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে যাদের ১২ জন আউটসোর্সিং কর্মী।
যশোর মেডিকেল কলেজ শুরুতে ১৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ৩১ জন নিরাপত্তা প্রহরী, দুইজন টেবিল বয়, দুইজন আয়া, দুইজন বাবুর্চি, তিনজন সহকারী বাবুর্চি, তিনজন হোস্টেল অ্যাটেনডেন্ট, দুইজন গার্ডেনার এবং একজন করে প্লাম্বার, ম্যাসেঞ্জার, লিফটম্যান, পাম্প অপারেটর, এসি ম্যাকানিক ও ইলেকট্রিশিয়ান আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়। এদের মধ্যে ৩৫ জনকে বছর তিনেক আগে উন্নয়ন খাতভুক্ত করে। সম্প্রতি ৪র্থ শ্রেণির ৩৫টি পদ রাজস্বভুক্ত হয়েছে। এ পদগুলো পূরণের ক্ষেত্রে উন্নয়ন কর্মীরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। সূত্র জানিয়েছে, ৩৫জন উন্নয়ন কর্মীর মধ্যে ২২জনকে রাজস্ব খাতভুক্ত করার জন্য সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আউটসোর্সিং কর্মীদের মধ্যে থেকে ১২জনকে নেয়া হয়েছে।
সূত্রের দাবি, রাজস্ব খাতের যে ৩৫ জনের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে সেখানে ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষের স্বাক্ষর রয়েছে। এই তালিকায় এক নম্বরে আছেন ইলেক্ট্রিশিয়ান এসএম সাইদুর রহমান সবুজ ও ৩০ নম্বর তালিকায় আছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী জয়দেব। অবাক ব্যাপার হচ্ছে তালিকায় ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হওয়ায় হাবিবুর রহমান তালুকদারের নাম থাকলেও বঞ্চিত হয়েছেন দাবিদার অনেক কর্মচারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, কলেজ অধ্যক্ষকে প্রভাবিত করে রাজস্ব খাতের ৩৫জনের নামের তালিকা তৈরি করা হয়। কলেজের প্রধান অফিস সহকারী আব্দুস সবুর ও সদ্য অবসরে যাওয়া হিসাবরক্ষক জয়নাল অধ্যক্ষকে প্রভাবিত করেছেন। অতীতেও তারা প্রভাবিত করে কলেজের নানা খাতে অনিয়ম করেছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মহিদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়নে উন্নয়ন খাত পরিচালিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরের মাধ্যমে উন্নয়ন খাত থেকে কর্মীদের বেতন দেয়া হয়। এছাড়া পাইলট প্রকল্প খাতের কর্মীদের ঠিকাদারের মাধ্যমে বেতন দেওয়া হয়। আমরা উন্নয়ন খাতের কর্মীদেরকে অর্থাৎ ৩৫ কর্মীকেই রাজস্ব খাতে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হবে না। কেউ কেউ অপরাধী হয়ে থাকলে কমিটির মাধ্যমে বাদ দেওয়া হবে।