নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মাসেতু চালুর পর যশোর-নড়াইল সড়কের ব্যস্ততা বাড়লেও নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। এ কারণে যানজটে ভোগান্তি এখন যাত্রীদের নিত্যসঙ্গী। দীর্ঘদিন সড়কে বক্স কেটে রাখায় ঘটছে দুঘর্টনা।
সড়কে চলাচলকারী এক পরিবহন চালক বলছেন, যশোর-নড়াইল সড়কের প্রশস্তা এমনিতেই কম, তার উপর নির্মাণ কাজের কারণে রাস্তা আরো ছোট হয়ে গেছে।
রাস্তার এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। একদিক দিয়ে চলাচলের সময় আরেক দিকের গাড়ি থেমে থাকছে। এতে করে রাত-দিন যানজট লেগেই থাকে। দশ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে দেড় ঘণ্টা।’ অন্যদিকে, রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ায় গাড়ি দুঘর্টনা বেড়েছে। আবার রাস্তার বক্স কেটে রাখায় গাড়ি মুখ থুবড়ে পড়ে থাকছে খাদে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গাড়ি মালিকরা।
ঠিকাদাররা জানান, রাস্তা নির্মাণকালে বক্স কাটার পর ফেলা রাখা উচিৎ না, বালির কাজ দ্রুত শেষ করা উচিৎ। কিন্তু ওই রোডের ঠিকাদার তা না করে অযথা কাজ ফেলে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।
নড়াইলের চাল ব্যবসায়ী আফজাল খান বলেন, ‘রাস্তা নির্মাণের ধীরগতির কারণে যশোর থেকে মালামাল নিয়ে যেতে অনেক সময় লাগছে। আবার এই রোড খুড়ে রাখার জন্য গাড়ি চালকরাও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
যশোর জেলা পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়ন (২২৭) সভাপতি আজিজুর রহমান মিন্টু বলেন, যশোর-নড়াইলের রোডের কাজ শেষ না হওয়ায় যানজট নিরসন হচ্ছে না। নির্মাণের কারণে রাস্তা ছোট হয়ে গেছে। ফলে একমুখী যানবাহন চলাচল করছে। এ কারণে যানজট লেগেই থাকে। দ্রুত রোডের কাজ শেষ করার দাবি জানান।
জেলা পরিবহন মালিকরা জানান, রোড সরু হওয়ায় বাস ও মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা বেড়েছে। নড়াইল রোডে যেখানে সেখানে বাস ট্রাক মুখ থুবড়ে পড়ে থাকছে। গত মঙ্গলবারও দায়তলা এলাকায় বাস উল্টে খাদে পড়েছে। এই রকম ঘটনা প্রতি নিয়ত ঘটছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর-নড়াইল সড়কের কাজ চলছে। কাজ করছে মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।’