চুড়ামনকাটি (যশোর) প্রতিনিধি : টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কটির বেহাল দশা হয়েছে। বর্তমানে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে এমন বড় বড় গর্ত হয়েছে যে যানবহন চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ সড়কের হাজার হাজার যাত্রী। বর্তমানে সড়কটি বিপজ্জনক সড়কে পরিনত হয়েছে।
কয়েক বছর পূর্বে সড়কটি নতুনভাবে নির্মানের পর থেকেই রা¯ত্মার বিভিন্ন জায়গায় উঁচু নিচু হয়ে পড়ে। উঁচু নিচু স্থানে পানি জমে গর্তের সৃষ্টি হয়। এছাড়া মুল রা¯ত্মা থেকে রা¯ত্মার পাশে অনেক নিচু হওয়ায় আরো বিপদজনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখাযায়, ঝিনাইদাহ থেকে পালবাড়ির মোড় পর্যšত্ম একাধিক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । গরমে রা¯ত্মায় পিচ গলে বেশি উঁচু নিচু সৃষ্টির স্থানে কয়দিনের বৃষ্টিতে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রা¯ত্মাটি। দেখা যায়, এসব গর্ত বন্ধ করতে কয়েকদিন ধরে রা¯ত্মা মাটি কাটা মেশিন দিয়ে সমান করার চেষ্টার পাশাপাশি নিচু জায়গায় ইটের খোয়া দিয়ে নামমাত্র গর্ত ভর্তি করা হচ্ছে।
এদিকে মুল সড়কের কোল ঘেঁষে রা¯ত্মার সাইড অনেক নিঁচ হওয়ায় প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে এই সড়কে।সড়কের বড় বড় গর্ত ও পাশে পানি জমে থাকায় কার্দমাক্ত হয়ে সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
রূপসা পরিবহনের চালক ইবাদত হোসেন জানান,গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রা¯ত্মাটি সম্পূর্ন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে খুলনা থেকে কুষ্টিয়া যাতায়াত করছি।
ট্রাক চালক বাবুল হোসেন জানান, রা¯ত্মায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পণ্যবোঝাই করে ট্রাক চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।এই কয়দিনে রা¯ত্মার এমন বেহাল দশার কারণে একাধিক ট্রাক গর্তে পড়ে বিকল হয়ে রা¯ত্মায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
চুড়ামনকাটি গ্রামের ইজিবাইক চালক মহিদুল ইসলাম জানান, বারীনগর বাজার থেকে পালবাড়ির মোড় পর্যšত্ম যাতায়াত করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
ইসরাইল হোসেন নামের একজন মোটরসাইকেল চালক জানান, রা¯ত্মা এতাটাই বেহাল দশা যে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়া যাচ্ছেনা। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছি। তিনি আরো জানান, রা¯ত্মার এমন বেহাল দশার কারণে প্রায় রা¯ত্মার পাশে পড়ে কাঁদা পানি মেখে বাড়িতে আসতে হয় আমাদের।
সিএনজি চালক আবু মুসা জানান, রা¯ত্মার অবস্থা এই কয়েকদিনের বৃষ্টিতে খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। আগে যে রা¯ত্মা যেতে ১০ মিনিটি লাগতো বর্তমানে সেখানে যেতে ৩০ মিনিট লাগছে তাও জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে।