নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে পারিবারিক বিরোধে ছোট ভাইয়ের হাতে বড়ভাই এবং কিশোর গ্যাংয়ের হাতে কিশোর খুন হয়েছে। শুক্রবার রাতে যশোর সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামে ও শহরের বারান্দি নাথপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ডর ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া সাদ্দামের মোড় এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে ইউনুস (২২) ও শহরতলী শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়া এলাকার মোহাম্মদ বাচ্চু মোল্লার ছেলে নাহিদ হাসান (১৭)।
ঘুরুলিয়া গ্রামে ছোট ভাই ইউসুফের ছুরিকাঘাতে বড়ভাই নিহত হয়েছেন ইউনুস নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, কিশোর গ্যাংয়ের বিরোধে যশোর শহরের বারান্দি নাথপাড়ায় হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে নাহিদ হাসান। নিহতদের লাশ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, যশোর সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামে ছোট ভাই ইউসুফের ছুরিকাঘাতে বড়ভাই ইউনুস নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউসুফের সাথে বড় ভাবী সুরাইয়ার ঝগড়া বিবাদ হয়। এই ঝগড়ার এক পর্যায়ে ইউসুফ বড়ভাই ইউনুসের বুকে ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা ইউনুসকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ইউনুসের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, হামলাকারী ইউসুফ মাদকসেবী। তার বিরুদ্ধে এলাকায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সে বড়ভাবী সুরাইয়াকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এর জের ধরে ঝগড়া বিবাদ ও হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
অপরদিকে, কিশোর গ্যাংয়ের বিরোধে যশোর শহরের বারান্দি নাথপাড়ায় হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে নাহিদ হাসান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নাহিদ তার বড়ভাই বোরহানের সাথে শহরের আরএন রোডে মোটরপার্টসের দোকানে ব্যবসা করতো। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পূর্ব পরিচিত হাসানকে (১৩) নিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কিশোর গ্রুপের সাথে বারান্দি নাথপাড়া এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিল।
এ সময় সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে বিবাদের জের ধরে ওই কিশোররা নাহিদকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় ছুরিকাঘাতে হাসানও আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নাহিদের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত হাসানকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
একইরাতে আধাঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি হত্যাকা-ের খবরে হাসপাতালে ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) বেলাল হোসাইন।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবি ওসি রূপন কুমার সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পারিবারিক বিরোধে ঘুরুলিয়ায় ছোটভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত হয়েছেন।
অন্যদিন বারান্দি নাথপাড়ায় কিশোর গ্রুপের ছুরিকাঘাতে আরেক কিশোর নিহত হয়েছে। দু’জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা অনুসন্ধান ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।