নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে পৃথক দুইটি সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এসময় একজন আহত হয়েছে। আহতকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার শাঁখারিগাতি এলাকায় বাসের সাথে পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপ চালক সুজন হোসেন (৩০)নিহত হন।
এ সময় আহত হন মিরাজ আসিফ (২৬)। একই দিন বিকেলে শার্শার কাশিপুর গ্রামে বাড়ির সামনের সড়কে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মেহেদী হাসান(১২) নিহত হয়েছে।
নিহত পিকআপ চালক সুজন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার দক্ষিণ সাতালা রাজাপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে এবং মেহেদী কাশিপুর বটতলা গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে।
হাসপাতালে আহত মিরাজ জানান, তিনি খুলনা থেকে তরমুজ কিনে পিকআপ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে যশোর সদর উপজেলার শাঁখারিগাতি এলাকায় পৌঁছালে খুলনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে তাদের পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি ও পিকআপের চালক গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পিকআপ চালক সুজন মারা যান।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দুইজনকে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে মাথায় আঘাত লাগার কারণে সুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে লাশের ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্থান্তর করা হয়েছে।
এদিকে নিহত মেহেদী হাসানের মামা জসিম উদ্দিন বলেন, বিকেলে বাড়ির সামনে বাইসাইকেল চালাচ্ছিল মেহেদী। এ সময় প্রতিবেশি মাইক্রোচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেহেদীর সাইকেলে ধাক্কা দিলে মেহেদী রাস্তার উপরে ছিটকে পড়ে মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটি মারা যায়।
হাসপাতালের ডাক্তার শুভাশিষ জানান, মাথায় আঘাত লাগার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্যে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।