নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রীর যশোর আগমন উপলক্ষে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় যেসব প্রচার তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুন তৈরি করবেন তাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়া আর কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। মঙ্গলবার জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে নেতাকর্মীদের ব্যাপক জনসংযোগ, প্রচার প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ নভেম্বর যশোর জেলা স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে মঙ্গলবার যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলা সার্কিট হাউজে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) বিএম মোজাম্মেল হক এমপি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন।
অনুষ্ঠান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, হায়দার গণি খান পলাশ, সাইফুজ্জামান পিকুল, আব্দুল খালেক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী রায়হান, গোলাম মোস্তফা, মেহেদী হাসান মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম লিটন ও মীর জহুরুল হক, তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ কচি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুখেন মজুমদার, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, জেলা নেতা রেজাউল ইসলাম, জেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, যশোর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আসাদুজামান মিঠু, যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, যশোর ছাত্র লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস, সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব প্রমুখ।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার জন্য জেলা, শহর, প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যায়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বর্ধিত সভা করে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করে প্রচার প্রচারণা চালাবে। জনসভা উপলক্ষে যেসব প্রচার তোরণ, ফেস্টুন, ব্যানার করা হবে তাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। তবে যারা এগুলো তৈরি করবে তারা সৌজন্য নাম ব্যবহার করতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্যায়ে প্রচার করতে হবে।
একইসাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে নেতাকর্মীদের ব্যাপক জনসংযোগ, প্রচার প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জনসভায় পাঁচ লক্ষাধিক লোকের জনসমাগমের টার্গেট পূরণে নেতাকর্মীদের সর্বাত্মকভাবে মাঠে নামার নির্দেশনা দেয়া হয়।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়া আর কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না; এটা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যায়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সভা করে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করে প্রচার প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।’
দুপুরে সার্কিট হাউজে বর্ধিত সভা মুলতবি করা হয়। পরে বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মূলতবি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করে নেতৃবৃন্দের মাঝে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়। #