এস হাসমী সাজু : যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে মহিলাসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় জেলায় নতুন করে আরো ৯জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকা থেকে আসা ৩জন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে চালু হয়েছে ডেঙ্গু কর্নার। সাথে রয়েছে একটি মেডিকেল টিম। একই সাথে জরুরি মুর্হূতের জন্য র্যাপিট রেস্পনস টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের জন্য পৌরসভার উদ্যোগে ফগারমেশিনের মাধ্যমে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পার্থপ্রিতম চক্রবর্তি জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় (অর্থাৎ ২৪ জুলই সকাল ৮টা থেকে ১৫ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত) মহিলাসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ৩জন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা সকলে ঢাকা থেকে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যশোরে আসেন। এ সময় সুস্থ হয়ে ৪জন বাড়িতে ফিরে গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ১১জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান, চৌগাছা কয়ারপাড়া গ্রামের সমীর কর্মকারের স্ত্রী দোলন কর্মকার(৩৩) এবং বাঘারপাড়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আব্দুল গফফার (৬৫)। তারা দু’জনই স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১২ জুলাই যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের দু’জনেই হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন।
এদিকে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এদের মধ্যে ৩জন ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে যশোরে আসেন। এর মধ্যে মণিরামপুর উপজেলার ২জন এবং চৌগাছার ১জন রয়েছেন। বাকি ৬জন যশোর শহরের স্থানীয় বাসিন্দা।
যশোর সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান,‘ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত দু’জন যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়নি। মারা যাওয়া দু’জনই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যশোরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। খারাপ হতে পারে এমন আশঙ্কায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালসহ প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কর্নার খোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন উপজেলায় নিয়মিত উঠান বৈঠক ও অবহিতকরণ সভা করা হচ্ছে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, হাসপাতালে চালু হয়েছে ডেঙ্গু কর্নার। সাথে রায়েছেন একটি মেডিকেল টিম। একই সাথে জরুরি মুহুর্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য র্যাপিট রেস্পনস টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।