নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে টানা শৈত্যপ্রবাহের পর বুধবার শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা বেড়েছে। এদিন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে হিমেল হাওয়ার কারণে ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। এতে কৃষিনির্ভর মানুষ পড়েছেন বিপাকে। প্রচণ্ড শীতেও শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন জীবিকার সন্ধানে।
যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এদিন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাল বৃহস্পতিবারও তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে এবং বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, তীব্র শীত ও তাপমাত্রা কম থাকায় গত দু’দিন জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও কাল বৃহস্পতিবার জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাঠদান চলবে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন বলেন, গত দু’দিন তীব্র শীত ও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় জেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে কাল বৃহস্পতিবার জেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলবে।
এদিকে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, গত দু’দিন জেলার এক হাজার ২৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদন কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। তবে কাল বৃহস্পতিবার থেকে জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান হবে।
এদিকে, সকালে সূর্যের দেখা মিললেও সারাদিন আর সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও নিম্ন আয়ের মানুষের শীতে কষ্ট পোহাতে হয়েছে।
ধর্মতলা এলাকার রিক্সা চালক নাহিদ হোসেন বলেন, তীব্র শীতের কারণে আমরা খুবই কষ্টে আছি। শীতে দিনের আয় অর্ধেকে নেমেছে। আগে সারাদিনে যা আয় ছিলো তা দিয়ে সংসার চললেও এখন চলা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ইজিবাইক চালক রওজব আলী বলেন, সকালে তেমন যাত্রী পাচ্ছি না। এছাড়াও ঠান্ডা বাতাসের কারণে গাড়ি চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
সরকারি এম এম কলেজের শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, শীতের ভিতরে পরীক্ষা থাকায় কলেজে আসতে হচ্ছে। সকালে বের হওয়ায় ঠাণ্ডা লেগেছে।