সাইফুল ইসলাম : যশোরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে দেশি জাতের লিচু। তবে মৌসুমের নতুন ফল হিসাবে দাম বেশ চড়া। প্রতি ১০০ পিস লিচু ব্যবসায়ীরা ২৩০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। শুক্রবার যশোর শহরের দড়াটানার মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড বাজার, মনিহার মোড়, পালবাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় লিচু বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মৌসুমের শুরুতে দেশি লিচু বাজারে এসেছে। অন্য জাতের যে বিভিন্ন লিচু আছে সেটা এখানো বাজারে আসেনি। বোম্বাই লিচুসহ অন্য জাতের লিচু আরও কিছুদিন পর বাজারে আসবে।
বাজারে লিচু কিনতে আসা পুলিশ লাইন এলাকার গৃহিণী শাহানাজ পারভীন সানি বলেন, বাজারে নতুন লিচু দেখে কিনতে দাঁড়িয়েছি। নতুন নতুন উঠেছে তো এই কারণে দাম একটু বেশি। তবে বাসায় বাচ্চারা সবাই লিচু বেশ পছন্দ করে। এই কারণেই কিনতে আসা।
আরেক ক্রেতা আল আমিন হোসেন বলেন, বছরের ফল নতুন উঠেছে। তাই কিনতে আসলাম। কিন্তু দাম বেশি হওয়ার কারণে ৫০টি লিচু ১২৫ টাকা দিয়ে কিনেছি। এখনকার লিচু এখনো স্বাদে পরিপক্ব হয়নি আর কয়েকদিন পর হয়ত বাজারে ভালো লিচু পাওয়া যাবে।
চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড বাজারের লিচু বিক্রেতা শুকুর আলী বলেন, লিচু এখন প্রথম প্রথম উঠেছে। এ কারণে দাম বেশি। আমি প্রতি ১০০ পিস লিচু ২৪০ টাকা করে বিক্রি করছি। বাজারে ২৪০ থেকে ৩০০ পর্যন্তও অনেক এলাকায় লিচু বিক্রি হচ্ছে।
আরেক লিচু বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মহাজন লিচু গাছে থাকতে বাগান থেকে কিনেছেন। এবার গরমের কারণে অনেক লিচু গাছে থাকতে ফাটার কারণে নষ্ট হচ্ছে। এই জন্য বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। তা না হলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তারপর ঝড়েরও ভয় আছে। ঝড় হলে তো সব শেষ।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, লিচু মূলত রাজশাহী ও দিনাজপুর অঞ্চলে বেশি হয়। যশোরে কিছু কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে লিচু চাষ হয়ে থাকে। বাজারে এখন যে লিচু পাওয়া যাচ্ছে এটা মূলত দেশি লিচু। এই লিচু পাকার আগেই রং ধারণ করায় আগাম হিসাবে বিক্রি হয়। আর এখন যে লিচু পাওয়া যাচ্ছে এটার বিচি বড় হয় ও ফেটে যাওয়া লিচু। এটা হয় মূলত বেশি গরম ও বৃষ্টির কারণে। আর ফেটে গেলে এই লিচুর চাহিদা থাকেনা এই জন্য এই লিচুগুলো আগে থেকে বিক্রি করে দেয়। অন্যদিকে, বোম্বাই লিচু একটু দেরিতে পাকে। আর বোম্বাই লিচুর পাশাপাশি আছে কাঁঠালি, বেদানা, চায়না থ্রি এগুলো এগুলো আরও পরের বাজারে আসবে।