নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর মেডিকেল কলেজের (যমেক) অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করেছে নিয়োগ বোর্ড। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠায় এই মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। যমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাক্তার মহিদুর রহমান জানিয়েছেন, অবসরজনিত কারণে বৃহস্পতিবার তার শেষ কর্মদিবস। ফলে আগামীতে নতুন অধ্যক্ষ পরীক্ষার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ, দীর্ঘদিন ধরে যশোর মেডিকেল কলেজের ৪র্থ শ্রেণির ১৮টি পদ শূন্য। পরে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে গত ১৭ মে ১৮টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী ২জুন ছিলো আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময়। এ সময়য়ের মধ্যে ১৮টি পদের বিপরীতে ৪ হাজার ২শ’ টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে আবেদন ফিসহ আবেদনে ভুল থাকায় ১হাজার ৫২৪ জনের আবেদন বাদ দেয়া হয়।
পরে ৫জুন তড়িঘড়ি করে লিখিত পরীক্ষা নিয়ে ওই দিন রাতে সাড়ে ১১টার দিকে এমসিকিউ পরীক্ষার ফলাফল কলেজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে নিয়োগ বোর্ড। এতে ৫৩ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। তাদের মৌখিক পরীক্ষা ৬ জুন মঙ্গলবার নেওয়ার কথা থাকলেও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি অনিবার্যকারণবশত: মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করেন। উত্তীর্ণদের পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মহিদুর রহমান জানান, লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। আগামীকাল আমি অবসরে যাচ্ছি। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা সম্ভব না। এছাড়াও অর্থের বিনিময় নিয়োগ ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠায় মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করেছে নিয়োগ বোর্ড। আগামীতে নতুন অধ্যক্ষ এসে পরীক্ষার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।