মোন্তাজ আলী, ঢাকুরিয়া প্রতিনিধি: ঢাকুরিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আরশাফ আলীর কাছে জমি বিক্রি অথবা তার জমির পাশে জমি থাকা মানেই মামলা খাওয়া। এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অর্ধশত মামলা করেছেন তিনি। তার মামলার কারনে অনেক পরিবার সর্বশান্ত হয়ে গেছে।
সূত্রে জানাযায়, মণিরামপুর উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের মৃত ছায়েম আলীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আরশাফ আলীর যতো জমি আছে সবগুলো জমিতে মামলা ও জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। কারোর কাছ থেকে পাঁচ শতক ক্রয় করে আট শতক দখল করে রেখেছেন।
আবার দশ শতক জমি ক্রয় করে ভুমি অফিসের মাধ্যমে বার শতক জমির নামপত্তন করিয়েছেন। এরকম অভিযোগ প্রায় সব জমিতেই। বর্তমানে আরশাফ আলী জমি সংক্রান্ত থানা ও আদালতে অর্ধশত মামলা লড়ে চলেছেন।
ঢাকুরিয়া গ্রামের হিরালালের ছেলে মহাদেব জানান, ‘আমার পিতা কোন দিন আরশাফ আলীর কাছে জমি বিক্রি করেনি। সে আমাদের এই পর্যন্ত বিভিন্ন মিথ্যা আশা দিয়ে ঘুরাছে। পরে আমরা আরশাফের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করি সেখানে হাজির হয়ে আমাদের সব কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আশরাফ আলী সময় নেয়।
সে থেকে আর কোন দিন পরিষদে হাজির করতে পারলাম না। তাই অবশেষে আমরা ১১ জন বাদি হয়ে বিজ্ঞ মনিরামপুর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেছি। মামলার নং ২৪৮/২৩। আমরা আদালতে মামলা করার পর আরশাফ আলী থানায় ও আদালতে ৬টি মামলা করেছে আমাদের নামে। আরশাফ আলীর মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকী দেয়া হচ্ছে।’
করেরাইল গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে রুহল আলামিন জানান, ‘আমার পিতার কাছ থেকে আরশাফ আলী করেরাইল মৌজার ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। তিনি ১০ শতক জমি ক্রয় করে ১২ শতক জমির নামপত্তন করে নিয়েছেন।
১০ শতক করে জোর পূর্বক দখল করে আছেন ২৭ শতক জমি। বিষয়টি জানতে তার কাছে গেলে আমার নামে আদালতে মামলা করে দিয়েছেন।’
ঢাকুরিয়া গ্রামের মৃত অমেদ আলীর ছেলে রমজান আলী জানায়, ‘আরশাফ আলী আমার পিতার কাছ থেকে ৬ শতক জমি ক্রয় করেন গত ২০ বছর আগে। সেখনে আমাদের ৩ শতক জমি বেশি ভোগ দখল করে আছেন। বিষয়টি আরশাফ আলী গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাই ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দিয়ে ছিলাম।
পরিষদ বার বার নোটিশ পাঠানোর পরও সে কোন দিন হাজির হয়নি। পরে আমরা জমির উপর দখল করতে গেলে আরশাফ থানায় মামলা করে পুলিশ নিয়ে আসে। থানায় দু’পক্ষের কাগজ পত্র দেখে আমাদের ৩ শতক জমি ছেড়ে দেয়। এখনো আরশাফ আলী সে জমি দখল দিতে যশোর থেকে মাস্তান এনে আমাদের বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিয়ে চলেছে।’
আরশাফ আলী জানান, জমি নামপত্তন করার সময় রুহুলদের জমি ২ শতক বেশি হয়ে গেছে। আমি সংশোধন করার জন্য এসিল্যান্ট অফিসে আবেদন করেছি।