সমাজের কথা ডেস্ক : মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার যতক্ষণ গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে বিএনপি ততক্ষণই তাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাবে বলে জানিয়ে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বিকালে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, “এটা ছাত্র-জনতার সরকার, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা দেব যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে, গণতান্ত্রিকভাবে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।”
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান ও পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে এসে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিলেন ফখরুল। দুই দিন পর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ থেকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করা হয়।
ফখরুল বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার একটু স্বস্তি ফিরিয়ে এনে একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন দেবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করবে, আমরা সেটাই চাই।
“আমরা চাই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হোক। আমরা যৌক্তিক সময়ও দিতে চাই।”
গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নাই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই করছি। আমরা লড়াই করেছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে।”
খালেদা জিয়া মুক্ত হলেও তারেক রহমান সাহেব এখনো মুক্ত হননি জানিয়ে তিনি বলেন, “তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা আছে তা প্রত্যাহার করতে হবে, কোনো মামলা থাকবে না।”
‘আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “অনেকে দেখি এত আনন্দে আছেন। তাদেরকে বলি, আন্দোলন শেষ হয়ে যায় নাই।
“এই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, এ দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি। মনে রাখবেন আমাদের আরও কিছুদিন পরিশ্রম করতে হবে, কষ্ট করতে হবে, দলকে সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল রাখবেন।”
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পরিচালনায় এই কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, যুব দলের নুরুল ইসলাম নয়ন, কৃষক দলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, সাবেক ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রশীদ হাবিব ফজলুর রহমান খোকনও অংশ নেন।