জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া (নড়াইল) : নড়াইল জেলা মৎস্যজীবী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহ—সভাপতি পদে ঠাঁই হয়েছে বিএনপি নেতা আজম ঠাকুরের ছেলে মো. আশরাফুল আলম ওরফে সাধনের।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দলীয় প্যাডে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়িদুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি মো. সাইফুল আলম আলিফ ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর আলীর স্বাক্ষরে এই কমিটি অনুমোদিত হয়। ৩ বছর মেয়াদী ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট নড়াইল জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ওই কমিটি কমিটিতে সাধনের নামের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদকারীরা জানিয়েছেন, আশরাফুল আলমের দাদা মৃত ময়েনউদ্দিন ঠাকুর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কাজ করেছেন এবং পিচ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. সেলিম শিকদার এ কমিটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আশরাফুল আলমের পিতা আজম ঠাকুর বিএনপিকে সুসংগঠিত রাখতে এখনো প্রতিনিয়ত অর্থযোগান দিচ্ছেন। বিএনপির আমলে আজম ঠাকুরের দ্বারা পুলিশি নির্যাতনে অনেকে বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি।
অনেকে এলাকা ছাড়াও হয়েছে। একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন ওই বিএনপি নেতা আজম ঠাকুর। অথচ তারই ছেলে আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের ভাইটাল পদ পায় এটা দুঃখজনক।
পদ পাওয়ার বিষয়ে মো. আশরাফুল আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন, তার পিতা বিএনপির কোনো কমিটিতে নেই। এলাকায় প্রতিপক্ষরা তার বাবা ও দাদাকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। এছাড়া তিনি ১৮ বছর পেরিয়ে গেছেন। তাই নিজের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্যজীবী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম, এইচ সোহেলের সাথে তার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরেছি সহ—সভাপতি পদ পাওয়া মো. আশরাফুল আলম বিএনপি পরিবার থেকে এসেছে। পরে সভাপতির সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে ওই ইউনিয়নের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে প্রমাণসহ কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করেছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছি।