বাগেরহাট প্রতিনিধি : জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মোংলা পৌর যুবলীগ নেত্রীকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় উদ্ধার করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছে আরো ৩ জন। যুবলীগ নেত্রী শামিমা ইয়াসমিন খুলনা মেডিকেলে আর বাকীরা মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সএ চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরও মামলা না নেওয়ার অভিযোগ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
যুবলীগ নেত্রী শামিমা ইয়াসমিন এর স্বামী আবদুল গফুর জানান, মোংলা পৌর শহরের এম রহমান সড়কে আমার মালিকানা বাড়িতে এক আত্মীয় নিলুফার আক্তার ও তার ৪ বছরের পুত্র সন্তান আলিফ শেখ এবং গৃহ কর্মী বাতাসি বেগমসহ অবস্থান করছিলেন। শনিবার(০৬ মে) দুপুরে উপজেলার বাশতলা এলাকার বাসিন্দা মুকুল শিকারী ও শাহনাজসহ কয়েকজন ঘরে ঢুকে আমার স্ত্রী শামিমা ইয়াসমিন জুই কে দা কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় ঘরে থাকা আত্মীয় নিলুফার ও গৃহ কর্মি উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। নিলুফারের ৪ বছরের শিশু সন্তান আলিফ শেখের মুখে গরম পানি দিয়ে পুড়ে দেয় তিনি জানান, মুঠোফোনো সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি অবগত হওয়ার পর থানা পুলিশ কে সাথে নিয়ে স্ত্রী শামিমা ইয়ামিনসহ আহত সকল কে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সএ ভর্তি করান।
গুরুতর আহত হওয়ায় মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে পাঠান মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স এর চিকিৎসক।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স এর প্রধান, ডাক্তার মো: শাহীন জানান, শামিমা ইয়াসমিনের মাথায় অতিরিক্ত আঘাত পাওয়ার কারনে অতিরিক্ত রক্তখরণ হয়েছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
আবদুল গফুর আরো অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় আমার স্ত্রীসহ আহত সকল কে থানা পুলিশসহ উদ্ধার করে। কিন্তু ওই ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর ও লিখিত এজাহারভুক্ত করেনি থানা পুলিশ। আটক করা হয়নি কোন আসামীকে। তিনি জানান, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তিনি শাহনাজ বেগম, কামরুজামান মুকুল শেখ, বেল¬াল হোসেনসহ ৬ জনের নাম উলে¬খ করে আরও অজ্ঞাত ৮ জনকে আসামী করে মোংলা থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন।
এবিষয়ে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামছুদ্দিন জানান, যুবলীগ নেত্রী কে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে এজাহার ভুক্ত করা হবে।