সোমেল রানা, মেহেরপুর : মেহেরপুর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৯০ হাজার। জেলার খামার ও পারিবারিকভাবে ১লাখ ৯০ হাজার পশু প্রস্তুত হয়েছে। জেলায় ৪শ’টি বাণিজ্যিকসহ ২৮ হাজার ৪শ’ পারিবারিক খামার রয়েছে। এসব খামারা বছর জুড়ে খামারে পরিশ্রম ও বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করার পর এখন পশুর বাজার ও দাম নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
এই পশুর মধ্যে দেশ সেরার তকমা আশা করছেন মেহেরপুরের মোনাখালী গ্রামের খামারী ইনসান আলী। গত কোরবানির ঈদে গরুর ব্যাপারীরা তার রাজাবাবুর দাম দিতে চেয়েছিলেন ২৫ লাখ টাকা । ইনসান তার রাজাবাবুকে দেশসেরা পশুর তকমা পেতে গতবছর বিক্রি করেননি। এবার দাম হেঁকেছেন ৪০ লাখ টাকা। মেহেরপুরের মোনাখালী গ্রামে প্রতিদিনই মানুষ ভিড় করছেন ওই গরু দেখতে। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মতে, পশুটি খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় গরু।
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের ছোট খামারী ইনসান আলী গত চার বছর আগে মাত্র ৮৫ হাজার টাকায় রাজা বাবুকে ক্রয় করেন। এরপর থেকেই নিজের সন্তানের মত লালন পালন করে বড় করেছেন রাজাবাবুকে।
রাজা বাবুর ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ মণের উপরে। উচ্চতা ৮ ফুট। ফ্রিজিয়াম জাতের এই গরুটির পেছনে প্রতিদিনের খরচ এক হাজার টাকা। তাপদাহের কারণে প্রতিদিন তিন থেকে চারবার গোসল করাতে হয়।
ইনসান আলী জানান, গত বছর ভালো দাম পেয়েও রাজাবাবুকে বিক্রি করেননি শুধুমাত্র দেশ সেরা বড় গরুর তালিকায় নাম ওঠাতে। কালো রংয়ের এই গরুটি ৪০ লাখ টাকা দাম হেঁকেছেন ইনসান আলী।
তিনি আরও জানান, তার পারিবারিক খামারে পরিবারের সদস্যরা পালাকরে রাতপাহারা করেন রাজাবাবুর দেখভালে। তিনি এও জানান, পশুটি বিক্রি হয়ে গেলে আর্থিকভাবে হয়তো লাভবান হবেন। কিন্তু মানসিকভাবে চরম কষ্ট পাবেন বড় মমতায় লালন পালনের কারণে।
সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের খামারী একরাম হোসেন পশুটির কথা শুনে দেখতে এসেছেন। তিনিও আগামীতে এমন মোটা তাজা পশু তৈরীর ইচ্ছের কথা জানান।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, মেহেরপুর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৯০ হাজার। জেলার খামার ও পারিবারিকভাবে ১লাখ ৯০ হাজার পশু প্রস্তুত হয়েছে। এরমধ্যে দৃষ্টিনন্দন পশু রাজাবাবু।