চুড়ামনকাটি (যশোর) প্রতিনিধি : যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের দোগাছিয়া গ্রামে ঝগড়া চলাকালে মেয়ের ধাক্কায় টিউবওয়েলের উপর পড়ে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার দুপুরের। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার পর মেয়ে পালাতক রয়েছে।
প্রতিবেশিরা জানান, দোগাছিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শাহাজান আলীর স্ত্রী আকলিমা বেগম(৫৫) ও বাড়িতে থাকা তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে রুমা খাতুন(২৭) শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সাংসারিক কাজ নিয়ে ঝগড়া শুরু করে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মেয়ে রুমা খাতুন তার মাকে জোরে ধাক্কা দিলে তিনি পাশে থাকা টিউবওয়েলের উপর পড়ে গুরুত্বর আঘাত পান। প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে পল্লী চিকিৎসক হযরত আলীকে চিকিৎসার জন্য ডেকে আনেন। উপস্থিত প্রতিবেশিদের ভাষ্যমতে পল্লী চিকিৎসক আসার আগেই আকলিমা বেগম মারা যান। ঘটনার পরপরই রুমা খাতুন পালিয়ে যায়।
খবরটি মুহুর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে হাজির হয় সাজিয়ালী ফাঁড়ি পুলিশ। তারা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সাজিয়ালী ফাঁড়ি পুলিশের এস আই সেলিম হোসেন জানান, যেহেতেু মৃত্যুটি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে এবং ঘটনার পরপরই মেয়ে পালাতক রয়েছে সেহেতু লাশটি ময়নাদতন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাদতন্তের রির্পোট পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা নাকি অন্য কিছু।
নিহত আকলিমার স্বামী শাহাজান আলী জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। মাঠে গরু খাওয়াতে গিয়েছিলেন। ছেলের কাছ থেকে শুনতে পারেন তার স্ত্রী প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় পড়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। মা মেয়ের ঝগড়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
মেয়ের হাতে মা মারা গেছে এমন সংবাদ এলাকায় জানাজানি হয়ে পড়লে নিহতের বাড়িতে শতশত লোক ভিড় জমায়।
চুড়ামনকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন বলেন, মেয়ে মাকে হত্যা করেছে এটা এলাকবাসীর নিকট থেকে তিনি শুনেছেন। ঘটনার পরপরই মেয়ে পালাতক থাকায় সত্য ঘটনা ধামাচাপা রয়েছে। সে আটক হলে সত্য ঘটনা জানা যাবে।