নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক জাকির হোসেন বিপস্নবকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।
আহত জাকির হোসেনের ভাই রেলওয়ের সাব-অ্যসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম সাতজনের বিরম্নদ্ধে এই মামলা করেছেন। থানা মামলা গ্রহণ না করায় ঘটনার ৯ দিন পর আদালতে মামলা দায়ের করলেন তিনি।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরম্নল ইসলাম মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম।
অপরদিকে এই ঘটনায় মেডিকেল কলেজ গঠিত তদšত্ম কমিটির মেয়াদ আরো সাত কার্যদিবস বৃদ্ধি করা হয়েছে। যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যড়্গ ডাক্তার মহিদুর রহমান এই আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামী করা হয়েছে যশোর মেডিকেল কলেজের চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র শামীম হোসেন, পঞ্চম ব্যাচের ছাত্র আবদুর রহমান আকাশ, ষষ্ঠ ব্যাচের ছাত্র মেহেদী হাসান লিয়ন, নবম ব্যাচের ছাত্র শাকিব আহমেদ তনিম, সৌম্য সাহা, দশম ব্যাচের ছাত্র তন্ময় সরকার ও সপ্তম ব্যাচের ছাত্র রাসেল।
বাদী মামলায় বলেছেন, তার ভাই জাকির হোসেন বিপস্নব যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কলেজের হোস্টেলের ১০৫ নং কড়্গরে থাকেন। তার পাশের কড়্গে আসামিরা মাদক সেবন ও হৈচৈ করতো।
এতে পড়াশুনার অসুবিধা হওয়ায় জাকির হোসেন প্রতিবাদ করায় তাকে খুনজখমের হুমকি দিয়েছিলেন আসামিরা। গত ৩১ জানুয়ারি ১০২ নং কড়্গে আসামিরা গাঁজা সেবন করে হৈচৈ করছিলেন। এ সময় জাকির তাদের হৈচৈ করতে নিষেধ করায় আসামি রাসেলের নির্দেশে অপর আসামিরা রাত পৌনে ৯ টার দিকে জাকির হোসেনের রম্নমে হামলা করে।
তারা জাকির হোসেনকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, কাগজপত্র ও চাবি নিয়ে যান। এ সময় জাকির হোসেনের চিৎকারে আশেপাশের রম্নমের আবাসিক ছাত্ররা এসে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার পর জাকির হোসেনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম কোতোয়ালি থানায় একটি এজাহার দিয়েছিলেন। অপরদিকে এই ঘটনায় মেডিকেল কলেজ কর্তৃপড়্গ একটি তদšত্ম কমিটি গঠন করে।
৭ ফেব্রুয়ারি তদšত্ম প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও কমিটি সময় চেয়ে আবেদন করে। তাদের আবেদনের প্রেড়্গেিত আরো ৭দিন সময় বাড়িয়েছেন অধ্যড়্গ ডাক্তার মহিদুর রহমান। এ হিসেবে আগামী ১৬ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা।