কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : ‘ঠিকাহীন’ সাবিত্রী রানীর দুই বছর কেটেছে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে। মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় ২০২২ হা্সপাতালে ভর্তি হন সাবিত্রী। ভর্তির সময় পুত্র ও পুত্রবধুর পরিচয় ছিল। কিন্তু তারা ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর দুই বছর হাসপাতালে আশ্রয় ও সেবা পেয়ে আসছেন সাবিত্রী। আশ্রয় ও সেবার কাজটিতে সহযোগিতা করেছেন কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের আরএমও ডা. মনিসংকর পাইক। তারই চেষ্টায় হাসপাতাল ছেড়ে সাবিত্রী স্থান্তরিত হয়েছেন নতুন ঠিকানায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর এক বৃদ্ধাশ্রমে। আর এ কাজে সহায়তা করেছেন কচুয়া উপজেলা প্রশাসন, সমাজসেবা অধিদপ্তর, উপজেলা পরিষদ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।
<<আরও পড়তে পারেন>> নারীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ
সাবিত্রী রানী বিশ্বাসের বয়স ৮০ বছর। ২ বছর আগে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে আসেন চিকিৎসার জন্য। সে সময় সন্তান প্রফুল¬ বিশ্বাস ও পুত্রবধূর নির্মম নির্যাতন সইতে না পেরে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে হাসপাতালে আসেন।
সে সময় থেকেই হামপাতালে ছিলেন তিনি। ডা. মনিসংকর পাইকের বদন্যতায় হাসপাতাল থেকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট এলাকার বৃদ্ধাশ্রমে স্থানান্তরিত হয়েছেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অসহায় বৃদ্ধার জন্য কম্বল, পরিধানের কাপড়, ৬ মাসের প্রয়োজনীয় ওষুধ, বৃদ্ধাশ্রমে পৌঁছানোর জন্য পরিবহন ও পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাথে স্টাফ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের আরএমও ডাঃ মনিসংকর পাইক বলেন, আমাদের এখানে সাবিত্রী মালো(বিশ্বাস) নামে যে রোগীটি ছিল তাকে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলি কিন্তু তার পরিবারের আত্মীয়— স্বজন বিশেষ করে তার ছেলে তাকে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর পরে আমরা একটু বিপদেই পড়ি। পরে মানবতার খাতিরে তাকে রেখে দিতে বাধ্য হই। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও ভর্তি রোগীদের বেড সংকটের কারনে আমরা তাকে যে কোন ভাবেই হোক অন্য জায়গা হস্তান্তরের চিন্তা থেকে একটি বৃদ্ধাশ্রমের খোঁজ পাই। পরবর্তীতে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তিনি নিয়মিত সাবিত্রীকে খোঁজ খবর রাখার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন। এমনকি মৃত্যুর পরে শেষকৃত্যের দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।