বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে কীটনাশক। উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ তেলিগাতী পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে আতিয়ার স্টোর নামে একটি দোকানে আতিয়ার হাওলাদার এই কীটনাশক বিক্রি করে চলেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকানটিতে মুদি-মনোহরিসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে। এসব খাবারের সাথে দোকানের গ্যালারিতে সাজানো রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক। একই দোকানে মুদি-মনোহরিসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খাবার সাথে রাখা কীটনাশকের ছবি তুললে তরিঘড়ি করে দোকানে রাখা তাক থেকে সব কীটনাশক দোকানের সাথে পিছনের বাড়িতে নিয়ে যান আতিয়ার হাওলাদার।
দোকানের মালিক আতিয়ার হাওলাদার কীটনাশক বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, কীটনাশক বিক্রি করার লাইসেন্স আছে।
মোড়েলঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী জানান, ওই ইউনিয়নের সাবেক উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজির আহম্মেদের প্রতিবেদনের সাপেক্ষে আতিয়ার হাওলাদারকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। তিন বছর আগে আতিয়ারের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় লাইসেন্স নবায়ন করেন। এসময় মুঠোফোনে মোড়েলঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা বলেন, উপ পরিচালকের কার্যালয় থেকে এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা দুই একদিনের মধ্যে তদন্ত করবেন। তিনি বলেন, আমি এলাকায় গেলে ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান তালুকদার (জামাল হোসেন তালুকদার) সহ উপস্থিত অনেকে বলেছে এই মুদিদোকানে কোন কীটনাশক বিক্রি হয়না।
এ বিষয়ে বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে মানুষের খাবার আছে সে সব দোকানে কোনধরনের কীটনাশক বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। এখানে লাইসেন্স দেওয়ার কোন বিধান নেই। যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো আর লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।