নিজস্ব প্রতিবেদক : মুজরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে যশোরে বড় বাজারের দর্জি শ্রমিকরা। দাবি আদায়ে গত ৫ দিন ধরে দর্জি শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। একইসাথে ঈদের আগে কাজ বন্ধ করে দেয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন টেইলার্স মালিকরা।
দর্জি শ্রমিকরা জানান, তারা কাজ করেন মালিকের দোকানে। কাজের বিনিময়ে মালিকরা তাদের মুজরি দিয়ে থাকেন। গত কয়েকদিন আগে তারা মৌখিকভাবে মালিক পক্ষকে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। কিন্ত মালিক পক্ষ তা মানতে চাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে দর্জি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ধর্মঘট চলছে।
শ্রমিকরা আরও জানান, টেইলার্সে সেলোয়ার কামিজ প্রকারভেদে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা মজুরি নেয়া হয়; সেখানে শ্রমিকদের মান ভেদে ৯৫ থেকে ১৫০ টাকা দেয়া হয়। স্কুল ফ্রকের জন্য ৪০০ টাকা মজুরির বিপরীতে শ্রমিক পায় ১২০ টাকা। বোরকা প্রকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকা নেয়া হয়, শ্রমিকরা পায় ৯৫ থেকে ১৪০ টাকা। লেহেঙ্গার মজুরি ৭০০ থেকে ১৩৫০ টাকা হলেও সেখানে শ্রমিকদের দেয়া হয় মাত্র ১৬০ টাকা। ফ্রক ৪৫০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেয়া হলেও সেখানে শ্রমিকদের দেয়া হয় ৮০ থেকে ১২০ টাকা। ম্যাক্সির মজুরি ২৮০ টাকা হলেও সেখানে শ্রমিকরা পায় ৬০ টাকা। টেইলার্সে নেয়া মজুরির বিপরীতে শ্রমিকদের পাওনা বৃদ্ধির দাবিতে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে বড় বাজার শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহাদুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি হলো, যশোর কালেক্টরেট মার্কেটের যে মুজরি বৃদ্ধি করা হয়েছে, সেই অনুপাতে আমাদের মজুরি বৃদ্ধি করা। মালিক পক্ষ যদি আমাদের দাবি না মানে তাহলে কঠোর আন্দোলনে নামবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে মালিক পক্ষের সিট ব্যবসায়ী শিপলু বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। মালিকরা আমাদের চাকরিচ্যূত করছেন।
যশোর পোষাক তৈরি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান খোকন বলেন, মালিকরা বসে আলোচনা করবো। তারপর মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বলতে পারবো। শ্রমিকদের কাজে আসার জন্য আহ্বান জানান তিনি।