সমাজের কথা ডেস্ক : মিয়ানমারে কয়েক দিনের টানা বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১১৩ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া বাস্ত্যুচুত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ। রোববার মিয়ানমারের সামরিক সরকার এক বিবৃতিতে প্রাণহানির এই তথ্য জানিয়েছে।
টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে; যার প্রভাবে এই অঞ্চলের কিছু দেশে ব্যাপক বৃষ্টি ও বন্যা শুরু হয়েছে। ইয়াগির আঘাত ও এর জেরে সৃষ্ট ঝোড়ো হাওয়া-প্রবল বর্ষণ-বন্যা ও ভূমিধসে ভিয়েতনামে অন্তত ২৫৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৮ শতাধিক মানুষ।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল এমআরটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে অন্তত ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আরও কমপক্ষে ৬৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে সামরিক জান্তার মুখপাত্র জ্য মিন তুন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘সরকার উদ্ধার ও পুনর্বাসন মিশন পরিচালনা করছে।’’ চলতি বছর এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির কারণে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ায় ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ওই দুই দেশের নদ-নদীর পানি উপচে শহরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
মিয়ানমারে বন্যা শুরু হয়েছে গত সোমবার। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে শুক্রবার পর্যন্ত অন্তত ৭৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছিল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে অস্থিরতা চলছে। তখন থেকে দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক দাতব্য সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কের কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে এবং বাগো অঞ্চলের পাশাপাশি পূর্ব ও দক্ষিণের শান, মোন, কায়াহ এবং কায়িন রাজ্যজুড়ে ঝোড়ো হাওয়া ও প্রবল বর্ষণ দেখা দিয়েছে। তবে বৃষ্টি ও বন্যায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চল।