নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে বাড়িওয়ালাকে অজ্ঞান করে চুরির মামলায় মাহাফুজ মোল্লা নামে এক আসামির কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছেন আদালত। রোববার যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ এই রায় প্রদান করেন। মাহাফুজ মোল্লা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার এগারনলী গ্রামের ছিরু মোল্লার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৬ মে দুই নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের মানিক সরদারের ছেলে আসলাম হোসেনের বাড়ি ভাড়া নেন। এর মধ্যে পুরুষ ব্যক্তি নিজেকে খুলনার ফুলতলা উপজেলার বুড়িয়ার ডাঙ্গার শেখ আনারুল ইসলামের ছেলে শেখ কুতুব হোসেন বলে পরিচয় দেন। ৫দিন পর ৩১ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা রান্না করা গরুর মাংস ও ডাল খেতে দেন বাড়িওয়ালাকে। রাতে এই খাবার খাওয়ার পর আসলাম হোসেন ও তার স্ত্রী নাসরিন নাহার অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এই সুযোগে ভাড়াটিয়া দম্পতি তাদের ঘর থেকে ৪০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল লুট করে পালিয়ে যান। পরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আসলাম হোসেন বুঝতে পারেন, ভাড়াটিয়া দম্পতি খাবারের ভেতর বিষাক্ত কোনোকিছু মিশিয়ে দিয়েছিলেন। যা খেয়ে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় আসলাম হোসেন অভয়নগর থানায় একটি মামলা করেন।
এই মামলার তদন্তকালে পিবিআই পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম নিশ্চিত হন যে, আসামি শেখ কুতুব হোসেনের নামটি সঠিক নয়। তার প্রকৃত নাম মাহাফুজ মোল্লা এবং বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার এগারনলী গ্রামে। এছাড়া ঘটনার সাথে আরো দুজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তিনি।
অপর দুজন হলেন, যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক মাতবারের ছেলে নাজমুল হোসেন ও মাগুরা সদর উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের মৃত সামছুর বিশ্বাসের ছেলে আলতাব বিশ্বাস। মামলায় আসামি মাহাফুজ মোল্লার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক তাকে ৪ বছর সশ্রম কারাদ- এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত।