নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি ও মারপিটের অভিযোগে স্বামী ইমরান খার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন স্ত্রী মুনমুন আক্তার সর্মি। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার জন্য ইমরান খা য়ৌতুক চেয়েছে। না পেয়ে করেছে মারপিট।
মামলায় স্বামীর সহযোগি সাফিয়া বেগমকেও বিবাদী করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবীর মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশ যশোরকে আদেশ দিয়েছেন। আসামি ইমরান খা অভয়নগর উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের সামছুর খার ছেলে এবং অপর আসামি সাফিয়া বেগম একই এলাকার বাসিন্দা।
বাদী মুনমুন আক্তার সর্মি যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে। এজহারে উল্লেখ আছে, ২০২০ সালের ৮ আগস্ট পারিবারিক ভাবে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে ইমরানের সাথে সর্মির বিয়ে হয়। তাদের ৫ মাস বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছু দিন পর সর্মি জানতে পারেন তার স্বামী অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সাফিয়া নামে এক নারীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি জানার পর তাদের দাম্পত্য নিয়ে সমস্যা শুরু হয়।
স্বামী যৌতুক দাবি করতে থাকে। সর্মির মা তিন লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেন। এরপরও যৌতুকের চাহিদা পূরণ না হওয়ায় সর্মিকে নির্যাতন করে আসছে। সম্প্রতি মাদক কারবারে পুঁজি বৃদ্ধির জন্য স্ত্রীর কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে ইমরান। গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় যৌতুকের টাকার জন্য মারপিট করে মুনমুন আক্তার সর্মিকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় আদালতে এই মামলা করা হয়েছে।