ইমরান হোসেন পিংকু : রোববার সন্ধ্যা ৬টা। যশোর শহরের বাদশা ফয়সাল ইসলামী ইনস্টিটিউট মোড়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন ১০জন পুলিশ সদস্য। এসময় তিন কিশোর হেঁটে পৌর পার্কের রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে থামিয়ে গন্তব্য কোথায় ও যাওয়ার কারণ জানতে চান। একে একে তিন কিশোরের দেহ তল্লাশি করেন পুলিশ সদস্যরা। তাদের কাছে কিছু না পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়।
শুধু শহরে বাদশা ফয়সাল ইসলামী ইনস্টিটিউট মোড়ে তল্লাশি নয়; শহরের প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। সন্দহজনক পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের থামিয়ে তল্লাশি করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তল্লাশিরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তারা শহরে নজরদারি বৃদ্ধি করেছেন। সন্দহজনক কিছু দেখলেই তা তল্লাশি করা হচ্ছে। একই সাথে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত যানবহন ও পথচারীদের উপর নজরদারি রাখা হয়েছে।
এদিন ধর্মতলা থেকে দড়াটানামুখী এক মোটরসাইকেল আরোহীকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করছিলেন এক পুলিশ সদস্য। তার বাজারে ব্যাগের ভিতর থেকে ধান কাটার কাঁচি পাওয়া যায়। পরে তাকে শহরে ঢুকতে না দিয়ে নিজ এলাকাতে পাঠিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। মোটরসাইকেল আরোহী নাসির উদ্দিন প্রতিবেদককে বলেন, আমার বাড়ি ভেকুটিয়া। খড়কি কামাড় বাড়ি থেকে এই কাঁচি তৈরি করেছি মাঠে কাজে জন্য। শহরের যাচ্ছিলাম বাজার করতে। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা ধর্মতলা মোড়ে দাঁড় করিয়ে বাজারের ব্যাগ ও দেহ তল্লাশি করেন। ব্যাগে কাঁচি থাকায় শহরে ঢুকতে দেয়নি। পুলিশ বলেছে কাঁচি রেখে শহরে আসতে।’
তিনজন পথচারি বলেন, শহরের বেশ কিছু জায়গায় দেখলাম পুলিশের নজরদারি বেড়েছে। যাকে তাকে তল্লাশি করছেন। সারা বছর যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি বৃদ্ধি থাকতো; তাহলে যশোরে মাদক, সন্ত্রাস কম থাকতো।’
যশোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, মাদক ও সন্ত্রাসীদের ধরতে যশোরে অভিযান চলছে। একই সাথে লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেলও ধরা হচ্ছে। এজন্য শহরের মোড়ে মোড়ে তল্লাশি বৃদ্ধি করা হয়েছে।’