রাজগঞ্জ প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের মাঠের পর মাঠ সেজেছে হলুদ ফুলে। সরিষা ফুলের ম ম গন্ধ আর মৌমাছিদের বিচরণ চাষিদের মনে জাগাচ্ছে শিহরণ। স্বল্প খরচে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতার ফেরাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরিষা চাষিরা। আমন ও বোরো ধান চাষের মাঝামাঝি অল্প সময়ে এই চাষ কৃষকদেরকে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখাচ্ছে। কৃৃষি বিভাগের প্রণোদনার বীজ ও সার দিয়ে জমিতে রোপণ করা সরিষা এক—দেড় মাসের মাথায় কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও আশানুরূপ হবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
সরিষা চাষি রাজগঞ্জের মোবারকপুর গ্রামের বাবু বলেন, এক বিঘা জমিতে কৃষি বিভাগের দেয়া প্রণোদনার বারি—১৪ উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষ করেছি। এতে প্রায় ৫ থেকে ৬ মণ সরিষা ফলন হবে, যার মণপ্রতি বাজার মূল্য ২হাজার ৫০০ থেকে ২হাজার ৬০০ টাকা। হানুয়ার গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি অল্প সময়ের মধ্যে সরিষা চাষ করা হয়, এতে করে একই জমিতে তিনটি ফসল ঘরে উঠে এবং বাড়তি আয়ের মুখ দেখা যায়। এই অল্প সময়ে সরিষা চাষে বাড়তি আয়ে সংকট কাটিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
ঝাঁপা ইউনিয়ন উপ—সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ভগীরত চন্দ্র ও আবু সাঈদ জানান, এবার কৃষি বিভাগ থেকে বারি—১৪, ১৭ ও ১৮ উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা ও সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এই জাতের পাশাপাশি কৃষকরা এবার তরী—৭ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার সরিষা চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার সরিষার চাষে আশানুরূপ ফলন হবে। বর্তমানে দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটাতে কৃষকরা ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ করেছে। আমরা আশা করছি, এবার সরিষার ফলন ভালো হবে এবং কৃষকরা লাভের মুখ দেখবে।