১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মাঝারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে যশোর শহরের নিম্নাঞ্চল

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবারো মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাতেই তলিয়ে গেছে যশোর শহরের নিম্নাঞ্চল। বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। ড্রেন উপচে পানি প্রবেশ করেছে সড়কে। সড়ক ছাপিয়ে সেই পানি ঢুকে পড়েছে উঠানে ঘরবাড়িতে। ভোগান্তিতে পড়েছেন শহরের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।

যশোরে বৃহস্পতিবার ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। আগামীকাল শনিবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর।

যশোর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যশোর শহরের ড্রেনের পানি প্রবাহের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অন্তত ২০টি সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শহরের খড়কি এলাকার শাহ আবদুল করিম সড়ক, শহরের পিটিআই সড়কের একপ্রান্ত, নাজির শংকরপুর, খড়কি রূপকথা মোড় থেকে রেললাইন, বেজপাড়া চিরুনিকল মোড়, মিশনপাড়া, আবরপুর, বিমানবন্দর সড়ক, ষষ্ঠীতলাপাড়া, শংকরপুর চোপদারপাড়া, স্টেডিয়ামপাড়া, নীলরতন ধর রোডসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার বাড়িঘরেও পানি ঢুকে পড়ে।

শহরের বিভিন্ন শ্রেণি—পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের ভেতর দিয়ে ভৈরব ও মুক্তেশ্বরী নামে দুটি নদ—নদী বয়ে গেছে। এর মধ্যে ভৈরব নদ দিয়ে শহরের উত্তরাংশ ও মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে শহরের দক্ষিণাংশের পানি নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু গত দেড় দশক শহরের দক্ষিণাংশের পানি মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে নামতে পারছে না। পয়োনিষ্কাশন নালার মাধ্যমে শহরের পানি হরিণার বিল দিয়ে মুক্তেশ্বরী নদীতে যেত। কিন্তু ২০১০ সালে হরিণার বিলে যশোর মেডিকেল কলেজ এবং এর আগে সেখানে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল স্থাপিত হয়। এরপর আশপাশে আরও অনেক স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এতে বিল দিয়ে পানি আগের মতো নিষ্কাশিত হতে পারছে না।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন দীর্ঘদিন সময় ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশের বেশিরভাগ ড্রেন দিয়ে পানি নামছে না। এ কারণে পানি উপচে সড়ক ডুবে যাচ্ছে। শহরের বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি অফিসের সামনে পানি উঠেছে। এর মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শিক্ষাবোর্ড অন্যতম। এসব প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে সংশ্লিষ্টদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এছাড়াও পাড়া—মহলার রাস্তাঘাট, বাসাবাড়িতেও পানিতে একাকার হয়ে গেছে।

পৌরসভার রেলবাজারের অবস্থা খুবই বাজে অবস্থা। একই অবস্থা খড়কির শাহ আবদুল করিম সড়কের। এম এম কলেজের দক্ষিণ গেটের পাশে খড়কি মোড়ে হাঁটুপানি। চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়েগেছে। তাছাড়া শহরের কারবালা, স্টেডিয়াম পাড়া, সার্কিট হাউজপাড়া, রায়পাড়া, শংকরপুর, ঘোপ কবরস্থান পাড়া, বেজপাড়া, তালতলা, নলডাঙ্গা রোড এলাকা, টিবি ক্লিনিকপাড়া, আশ্রম রোড এলাকা, বরফ কলের মোড়, লোন অফিসপাড়া, বড় বাজার এলাকার আবাসিক এলাকা, ষষ্ঠীতলা, এম.এম কলেজ রোড, ফায়ার সার্ভিস অফিস, জেলা শিক্ষা অফিসের ভেতরে পানিতে একাকার হয়ে গেছে। এই বৃষ্টিতে শহরের অনেক রাস্তার ওপর পানির স্রোত বইছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram