মেহেরপুর প্রতিনিধি : তাপদাহে মেহেরপুরের শোলমারি গ্রামের শোলমারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন ক্লাস করছে গাছতলায়। কারণ বিদ্যালয়টি টিনশেডের। তপ্ত আবহাওয়া বিরাজে গাছের ছায়াতলে ক্লাস নিতে হচ্ছে। তাপদাহে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতিও কমে গেছে। সকাল ৯টার দিকে দুটি একটি ক্লাস টিনশেড ঘরে নেয়া গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে টিনশেডের গরমে আর ক্লাস নেয়া সম্ভব হয়না। বাধ্য হয়ে গাছের ছায়াতলে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী শোলমারি গ্রামে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের উদ্যোগে ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ২০১৮সালে বিদ্যালয়টি এমপিভূক্ত হবার পর জেলা পরিষদ একটি দুই রুমের পাকা ভবন নির্মাণ করে দেন। যার একটি রুমে আর্থিক সংকটে জানালা দরজা লাগানো যায়নি। সেখানে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নেয়া হয়। অপর রুমটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ী পাকা ভবনের জন্য আবেদন করা হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগে। কিন্তু কোন সাড়া মেলেনি। জেলার সকল এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থায়ী পাকা ভবন পেলেও একমাত্র শোলমারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি স্থায়ী পাকা ভবন পাচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাত্রী জানান, তাপদাহের গরমে মাথার ওপরে টিনশেডের গরমে ঘামে শরীর ভিজে যায়। অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের অবস্থা বিবেচনা করে সোমবার থেকে বিদ্যালয়ের একমাত্র গাছের নিচে ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রকৃতির ছায়াতলে ক্লাস করতে ভালো লাগে। সূর্য ঘুরলে ছায়ার সাথে তাদের ক্লাস ঘোরে বলেও জানান।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, আগামী ৭ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এই গরমে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হবেনা টিনশেড ঘরে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব রহমান জানান, গরমে টিনশেডের ঘরে কোনভাবেই ক্লাস নেয়া যাচ্ছে না। অসহনীয় তাপদাহে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে থাকতে পারছে না। সকাল ৯টায় ক্লাস শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের তীব্রতায় বিদ্যালয়ের একমাত্র গাছের ছায়াতে পালা করে ক্লাস নিতে হচ্ছে।