নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের মুড়লী দানবীর হাজী মো. মহসীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ও দু’দিনব্যাপী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনের চেয়ারে ঠাঁই হয়নি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা সদস্য (প্রতিষ্ঠাতা), প্রাক্তন ও বর্তমান প্রধান শিক্ষকের। আলো ঝলমলে মঞ্চের সামনে আসন গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি যশোর—৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তার ডানে বায়ে সংসদ সদস্যের বহরে থাকা ব্যক্তিরা বসা ছিলেন। ফলে সামনের চেয়ারে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রাক্তন শিক্ষকদের আসন না দেয়ায় সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মঞ্চে প্রধান অতিথির বাম পাশে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইছালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম আফজাল, তার পাশেই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, রামনগরে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ, তার পাশে হৈবতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক।
<<আরও পড়তে পারেন>> ৫ লাখ শিক্ষক—কর্মচারীর জন্য সুখবর
এদিকে প্রধান অতিথির ডান পাশে জেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগর বিষয়ক সম্পাদক শেখ আলাউদ্দিন মুকুল, তার পাশেই জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু, জেলা পরিষদের সদস্য জবেদ আলী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাহার হোসেন স্বপন। তবে মঞ্চের সামনে যারা বসে ছিলেন তার মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মাত্র দুজন। একজন হলেন জলা যুব লীগের শিক্ষা ও পাঠাগর বিষয়ক সম্পাদক শেখ আলাউদ্দিন মুকুল ও অপরজন মণিরামপুর উপজেলার চেয়ারম্যান নাজমা খানম।
পেছনের সারিতে ঠাঁই হয় উদ্যোক্তা সদস্য আব্দুল খালেক ও এবিএম মাহাবুব হাসান, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শাহ আলম, প্রাক্তন শিক্ষক আমির হামজা, আনিসুর রহমান, গুলরুখ আলম, শশাংক কুমার মন্ডল ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের।
দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুক্রবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠন ও র্যাফেল ড্র। স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। রাতে অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী বলেন, এমপির বহরের থাকা লোকজনদেরকে সামনে বসিয়ে তাদেরকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়েছে। আর বিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা সদস্য এবিএম মাহমুদ হাসান ও আব্দুল খালেককে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদেরকে পেছনে চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়েছে। এটা আসলে খুবই দুঃখজনক। যাদের অবদানে আজকের এই প্রতিষ্ঠান স্বগৌরবে দািঁড়য়েছে সেই ব্যক্তিদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। কি কারণে তাদেরকে পেছনের সারিতে বসানো হলো এটা আমাদের বোধগম্য নয়।
বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি এবং সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শেখ সালাউদ্দিন টিপু অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এবিষয়ে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের যুগ্ম আহ্বায়ক সাউদ আল রশিদ ড্যানি।