মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুরে সড়ক সংস্কারের তিন দিনের মাথায় উঠে যাচ্ছে পিচ ঢালাই। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়। শনিবার রাতে পুনরায় কাজ শুরু করলে জনগনের বাঁধার মুখে ঠিকাদারের লোকজন পালিয়ে যায়। উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর জামে মসজিদ থেকে নারকেলবাড়ীয়া সড়কে সংস্কার নির্মাণকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ভবানিপুর জামে মসজিদ থেকে নারিকেলবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ৮০০ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। যার নির্মাণ ব্যয় ২৪ লাখ টাকা। কাজটি করছে ঝিনাইদহের সালেক এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যার মালিক মো: স্বপন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আলকাতরা ও পোড়া মবিল মিশিয়ে সড়কে ঢালাই দিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে সাধারণ জনগন কাজে বাঁধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। তিনদিন বন্ধ থাকার পর গত শনিবার রাতে ঠিকাদারের লোকজন ও এলজিইডি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত (এসও) উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদেরের উপস্থিতিতে কাজ শুরু করে। পরে স্থানীয় লোকজন বাঁধা দিলে তারা স্থান ত্যাগ করে।
নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া সড়ক দিয়ে সাইকেল, ভ্যান, অটোসহ বিভিন্ন যানবাহন চলচল করার সময় চাকার সাথে পিচ উঠে যাচ্ছে। এমনকি হাত দিয়ে টান দিলেও হাতের সাথে পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে। কাজ সম্পন্ন হওয়া সড়কের অনেক জায়গায় একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। সড়কের পিচ উঠে যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুস বিশ^াস জানান, এই সড়কের কাজ প্রথম থেকেই খারাপ ভাবে করছে। বিষয়টি একাধিকবার এলজিইডি অফিসারকে জানিয়েছি। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেইনি। ঠিকাদারের লোকজন যা করার তাই করে চলেছে। এ সড়ক যেভাবে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে আবার খারাপ বেশিদিন সময় লাগবে না।
ইউপি চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি বলেন, বিটুমিন কম ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে এ রাস্তার কাজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার মো: স্বপনের মুঠোফোনে (০১৭১২২৮৩৯০৭) একাধিকবার কল দিলে ফোন রিসিভ করেনি।
মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেনের কাছে রাস্তার নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করার কারনে পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
মাগুরার জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে মাগুরা থেকে ল্যাবরেটরি টিম ওই সড়কে পাঠিয়েছি। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার রির্পোট পাওয়ার পরে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।