নেংগুড়াহাট (মনিরামপুর) প্রতিনিধি : মনিরামপুর উপজেলার নেংগুড়াহাট এলাকায় পান চাষ করে সাবলম্বি হচ্ছে অনেক পরিবার। পারখাজুরা, কাঠালতলা, নোয়ালী ভরপুর, হাকিমপুর, হাজরাকাটিসহ আশপাশের এলাকায় পান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষকদের পাশপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষও কমবেশি ঝুঁকে পড়েছেন পান চাষে। এ অঞ্চলের উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
পারখাজুরা গ্রামের পানচাষি মিজানুর রহমানের জানান, প্রথমে স্বল্প পরিসরে একটি পানের বরজ তৈরি করেছিলাম। বছর শেষে ওই বরজ থেকে লাভের মুখ দেখেছি, দেড় বছরের মধ্যে তিন বিঘা জমিতে পানের বরজ করেছি। একবার একটি বরজ তৈরি করে সঠিক পরিচর্যা করলে আট থেকে ১০বছর পর্যন্ত পান বিক্রি করা যায়।
পানচাষিদের তথ্যমতে, একবিঘা জমিতে একটি বরজ তৈরি করতে বাঁশ, সুতা, তার, ঝাটি, পাটকাঠি, পানের লতা ও শ্রমিক খরচসহ অনেক টাকা ব্যয় হয়। বরজে পানের লতা বপন করার তিন মাস পর থেকে প্রতিটি লতা পান দিতে শুরম্ন করে। আষাঢ়ে বরজে পানের লতা বপন করলে তা তুলনামূলকভাবে বেশি ভালো হয়। এক পোন পান বাজারে প্রকারভেদে ১০০থেকে ১২০টাকা দরে বিক্রি হয়। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মড়ক দেখা না দিলে এক বিঘা জমিতে সব খরচ বাদ দিয়ে বছর শেষে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার পান বিক্রি করা সম্ভব।
কৃষকরা জানান পানের উপযুক্ত খাদ্য হচ্ছে খোল, রাসায়নিক সারের চেয়ে পান বরজে বেশি খোল দেওয়া হয়। পানের বরজে কর্মরত শ্রমিকরা সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যšত্ম পরিচর্চার বিনিময়ে পান ৩০০টাকা হাজিরা। এরপর প্রতি ঘণ্টা ৬০টাকা হিসাবে হাজিরা দেয়া হয়।
বর্তমানে মনিরামপুর উপজেলায় নেংগুড়াহাটের এলাকায় ১০/১২হেক্টর জমিতে পান চাষকরা হয়েছে বলে জানাযায়। গত বছরের তুলনায় সাত হেক্টরের বেশি জমিতে পান উৎপন্ন হয়েছে। মনিরামপুর উপজেলা চালুয়াহাট ইউনিয়ন কৃষি উপসহকারী মা হাবিবুর রহমান বলেন, পান একটি লাভজনক অর্থকরী ফসল। তাই দিন দিন পান চাষবৃদ্ধি পাচ্ছে। পানচাষিরা যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন, সে লক্ষ্যে কৃষি অফিস তাদের সহযোগিতা করছে।