নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁদা না দেয়ায় যশোরে মণিহার সিনেমা হলের তৃতীয়তলার ডিসি ক্যান্টিনে হামলা, ভাংচুরসহ ১২/১৩ লাখ টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে এই ঘটনার পর ডিসি ক্যান্টিনের মালিক শহরের নাজির শংকরপুরের এবিএম কামরুজ্জামান পলাশ বাদী হয়ে হল মালিকের ছেলে জিয়াউর রহমান মিঠুসহ ৫জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অন্যরা হলেন, হলের ম্যানেজার যশোর শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়া বাঁশতলার মোল্লা ফারুক আহম্মেদ, নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রশিদ ও জনি এবং সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা কাজীপুরের সবুজ দাস।
বাদী কামরুজ্জামান পলাশ অভিযোগে উল্লেখ করেন, ১৯৮৪ সাল থেকে তারা মণিহার সিনেমা হলের ৩য় তলায় ডিসি ক্যান্টিন দোকানটি পজিশন নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। প্রথমে তার বাবা আব্দুল মালেক ও তার বাবার মৃত্যুর পর তিনিই এ প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করে আসছেন। এছাড়াও মণিহার কমপ্লেক্সে তার আরও দু’টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমাঝে বিবাদীরা তার কাছে চাঁদা দাবি করে। বাধ্য হয়ে তাদের তিন লাখ টাকা চাঁদা দেন। কিন্তু এরপর আরও দুই লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। এক পর্যায়ে তিনি এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেন।
এতে করে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরই জের ধরে গত শনিবার রাতে তিনি বাড়ি ফেরার পথে আইটি পার্কের গেটের সামনে পেঁৗছালে আব্দুর রশিদ ও জনিসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে। এরপর মামলা প্রত্যাহারসহ আরও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারপিট ও গলাটিপে হত্যা চেষ্টা করে। এসময় পকেটে থাকা ব্যবসার ৭০ হাজার টাকা ও সোনার আংটি ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া পরে রাতের অঁাধারে বিবাদীরা মণিহার সিনেমা হলের তৃতীয় তলার ডিসি ক্যান্টিন ভাঙচুর করে। দোকানে থাকা পাঁচ লাখ টাকা লুটপাটসহ আরও সাত লাখ টাকার মালামাল ক্ষতি করে। পরে সকল মালামাল মণিহার সিনেমা হলের নিচতলার একপাশে ফেলে দেয়।
এ বিষয়ে মনিহার সিনেমা হলের মালিক জিয়াউর রহমান মিঠু বলেন, পলাশ অবৈধভাবে তৃতীয় তলায় ডিসি ক্যান্টিন চালিয়ে যাচ্ছিল। ক্যান্টিনটি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু না ছাড়ায় মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। লুটপাট ও চাঁদাদাবির অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।