১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মণিরামপুরে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্পে ভূ—গর্ভস্থ পানি উত্তোলন শুরু

মোতাহার হোসেন, মণিরামপুর (যশোর) : যশোরের মণিরামপুরে ব্যক্তি উদ্যোগে স্থাপিত সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পে ভূ—গর্ভস্থ পানি উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় যপবিস—২ (যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি—২) এর আওতায় দুই কৃষি উদ্যোক্তা সৌর প্যানেল স্থাপন করেছেন। এদিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে ভূ—গর্ভস্থ পানি উত্তোলন। এতে মোট ব্যয়ের ১০% ডাউন পেমেন্টে (মোট মূল্যের একটি অংশ উদ্যোক্তাকে প্রদান) এই সৌর চালিত সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে বিদ্যুতের উপর চাপ কমবে। যার গ্যারান্টি ধাকবে ১০ বছর।

এদিকে কৃষি জমি চাষাবাদের পাশাপাশি উৎপাদিত বিদ্যুতের একটি অংশ জাতীয় গ্রীডে যোগ হবে। পরিবেশ বান্ধব সৌর প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে একদিকে বিদ্যুতের উপর চাপ কমবে অপরদিকে প্রতি মাসে কাড়ি কাড়ি বিদ্যুৎ বিল প্রদানের ঝামেলা থাকছে না।

যপবিস—২ (যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি—২) সূত্রে জানা গেছে, সৌর বিদ্যুৎ পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সরকার, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অর্থায়নে এই সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। যপবিস—২—এর আওতায় মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার দুই উদ্যোক্তা (কৃষক) সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্প স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেন।

উদ্যোক্তা দুই কৃষক হলেন মণিরামপুর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম ও কেশবপুর উপজেলার মোতাহার হুসাইন। এর মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে জহুরুল ইসলামের সৌর বিদ্যুত চালিত পাম্প দিয়ে ভূ—গর্ভস্থ পানি উত্তোলন শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র পাইপ দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা হলেই পুরো কার্যক্রম শুরু হবে। অপরটিও শেষের দিকে।

উদ্যোক্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, তিনি শর্ত মেনেই এই সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প স্থাপন করেছেন। তিনি এই পাম্পের সাহায্যে নিজের কৃষি জমি ছাড়াও আরও কমপক্ষে ২৫ বিঘা জমি চাষের আওতায় আনতে পারবেন বলে আশা করছেন।

যপবিস—২—এর জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ৩, ৫, ৭.৫, ১০ ও ১৫ হর্স পাওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন মটরচালিত সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্প স্থাপন করা যাবে। দুই উপজেলায় ৫ হর্স—পাওয়ার মটরের পাম্প স্থাপিত হয়েছে। যার মোট ব্যয়ভার ৮ লাখ টাকা। ১০% ডাউন পেমেন্টে ১০ বছর মেয়াদি কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

স্থাপনের প্রথম দুই বছর বিনা পয়সায় যন্ত্রাংশ মেরামত ও সার্ভিস করা হবে। পরবর্তি তিন বছর সার্ভিস দেয়া হবে, তবে যন্ত্রাংশ খারাপ হলে তা উদ্যোক্তাকে বহন করতে হবে। এ থেকে ৪ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। তবে, উৎপাদিত বিদ্যুৎ সূর্যের আলোর উপর নির্ভর করবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram