নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর : মণিরামপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-চুকনগর সড়কের মণিরামপুর ফকিররাস্তা মোড়ে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাস যাত্রী আইনজীবী বিধান চন্দ্র রায় (৫৭) ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও ৫ জন।
অপরদিকে বিকেলে উপজেলার রাজগঞ্জ-যশোর সড়কের কোদলাপাড়া জামতলা মোড়ে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে রনি হেসেন (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হন।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে যশোর-চুকনগর সড়কে মাইক্রোবাসে করে আইনজীবী বিধান চন্দ্র রায়সহ অন্যরা ঝিনাইদহে যাচ্ছিলেন। এ সময় ফকিররাস্তায় পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মাইক্রোবাসটি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাস যাত্রী বিধান চন্দ্রের মৃত্যু ঘটে। নিহত বিধানের বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামে। এ সময় আহত হওয়া খুলনা সোনাডাঙ্গা গ্রামের এম এন জোয়ারদার (৫৬), শওকত আরা (৪২), হোসনে আরা (৫৪), জলি জোয়াদ্দার (৫০) ও মাইক্রোবাস চালক লিটন হোসেনকে (৪৫) মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
মণিরামপুর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমিন নাহার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের খুলনায় রেফার করা হয়।
অপরদিকে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজগঞ্জ-পুলেরহাট সড়কের কোদলাপাড়া জামতলা মোড়ে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী কলেজ ছাত্র রনি হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান জানান, নিহত রনি হোসেন খেদাপাড়া মাতৃভাষা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং বাগডোব গ্রামের নূর-নবীর ছেলে।
মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ তাদের পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।