নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর : মণিরামপুরে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) উৎপাদন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি কৃষি উদ্যোক্তা উপজেলার বলিয়ানপুর গ্রামের ইফতেখার সেলিম অগ্নির এই প্রকল্পে আসেন। এসময় তিনি এই কৃষি উদ্যোক্তার ভ’য়সি প্রশংসা করেন।
জানাযায়, মুক্তিশ^রী নদীর তীর ঘেষে ২০২১ সালের মে মাসে আড়াই কেজি কেঁচো ও ছয়টি রিং স্লাব দিয়ে সার উৎপাদন শুরু হয়। এখন এই নদীর তীরে টিনের ছাউনির নিচে ৬০ ফুট দীর্ঘ ও ২০ ফুট চওড়ার ৫টি শেডে তৈরী হচ্ছে এই সার। এক হাজার কেজি গোবরের সাথে পচশীল দ্রব্য মিশিয়ে ১ কেজি পরিমান কেঁচো দিয়ে ৪৫ দিনের মাথায় সার উৎপাদিত হয়।
ইফতেখার সেলিম অগ্নি জানান, সংগ্রহ করা গোবরের সাথে পচনশীল লতা-পাতা, পাটের পাতা, শাক-সবজির উচ্ছিষ্ট অংশ মিশিয়ে টুকরো টুকরো করে রোদে শুকিয়ে ঝুরঝুরে করা হয়। এরপর ৪০-৪৫ দিনের মাথায় তৈরী হয় সার।
প্রতি বছর ৮ চক্রে এই সার উৎপাদন হয়। প্রতি চক্রে ৫০ মেট্রিক টন সার তৈরী হয়। এখন দর-ুদুরান্তের কৃষকরা সার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তার দেখাদেখি এলাকায় অনেকেই ভার্মি কম্পোস্ট তৈরীতে ঝুকেছেন। রাসায়নিক সার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক হলেও এই কেঁচো সার ক্ষতিকারক নয়।