নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর: মণিরামপুরের দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জণ রায়ের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকা (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) সালেহা খাতুন লতা বাদী হয়ে সোমবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত দমন ট্রাইব্যুনাল—২ তে মামলাটি করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদক দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন রায় একই বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক সালেহা বেগম লতাকে দীর্ঘদিন কু—প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন প্রধান শিক্ষক। একপর্যায় ২০২২ সালে ১১ ডিসেম্বর দুপুরে বিদ্যালয় চলাকালীন প্রধান শিক্ষককের কক্ষে লতাকে ডেকে নিয়ে জাপটে ধর হয়।
ঘটনার পর সুষ্ঠ বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা। একপর্যায়ে মিমাংসার অজুহাতে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করে দপ্তরগুলো। পরে ওই শিক্ষিকা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকে আদালতে মামলা করার পরার্মশ দেন। এরপর সোমবার ওই শিক্ষিকা আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বাদীর আইনজীবী শেখ তাজ হোসেন তাজু জানান, বিচারক বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
শিক্ষিকা সালেহা খাতুন লতা জানান, ঘটনার পর ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করা হলেও কোন সমাধান হয়নি। বরং উল্টো আমাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক বিভিন্নভাবে হেনেস্থা করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন।