নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বামীর সাথে মোটরসাইকেলে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন তিন মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা শিরিনা আক্তার কণা (২৪)। কিন্তু ঘাতক ট্রাক তাকে গাইনি ডাক্তারের কাছে পৌঁছাতে দিল না। বরং গুরুতর অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেও চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে পারেনি। শুক্রবার দুপুরে মারা যান তিনি। এই দুর্ঘটনায় আহত হন তার স্বামী রম্নহুল কুদ্দুসও। শুক্রবার যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মুড়াগাছা বাজারে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিরিনা আক্তার কণা (২৪) মণিরামপুর উপজেলার উপজেলার তাজপুর গ্রামের রম্নহুল কুদ্দুসের স্ত্রী।
নিহত কণার স্বামী রম্নহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে যশোর শহরে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাজগঞ্জ-ঝিকরগাছা সড়কের মুড়াগাছা বাজারে পৌঁছলে ইটের ভাটার একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে এসে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে রম্নহুল কুদ্দুস ও স্ত্রী শিরিনা আক্তার কণা গুরম্নতর আহত হন।
আহতদের যশোর ২৫০ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিরিনা আক্তার কণা মৃত্যুবরণ করেন। স্বামী রম্নহুল কুদ্দুস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
যশোর হাসপাতালের জরম্নরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্র মল্লিক জানান, স্বামী-স্ত্রী দুজনই গুরম্নতর আহত হন। স্বামীকে চিকিৎসা দেওয়া গেলেও গর্ভবতী হওয়ায় স্ত্রীর চিকিৎসা কোন কাজে আসেনি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গর্ভের সšত্মনসহ তিনি মারা যান।
রম্নহুল কুদ্দুস আরো জানিয়েছেন, শিরিনা আক্তার কনা গর্ভবতী ছিলেন এবং গাইনি ডাক্তার দেখাতে যশোরে আসছিলেন। ঘাতক ট্রাকটি মনিরামপুরের সরসকাটি গ্রামের একতা ইটভাটার। মাটি পড়ে থাকায় রা¯ত্মা ছিল কর্দামক্ত। এসময় তার মোটরসাইকেলটি পিচের ওপর পিছলে যায়। তখন ঘাতক ট্রাকটি বাম পাশ থেকে এসে মোটরসাইকেলটিকে ডান পাশে ধাক্কা দেয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটে। শিরিনা আক্তার কণার মৃত্যুতে শোকাহত স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
যশোরে জানুয়ারি মাসের ১৩ দিনে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছোট বড় দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। প্রতিদিন গড়ে একজন করে নিহত হয়েছেন সড়ক দুর্ঘটনায়।