নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর : যশোরের মণিরামপুরে ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এক যুবককে অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ অপহৃত যুবককে উদ্ধার ও জড়িত অভিযোগে একজনকে আটক করেছে। অপহরণের শিকার সাজিদ হাসান (৪০) ঢাকার কেরানিগঞ্জের কাজী মাহমুদুল হাসানের ছেলে ও মেসার্স আর্থ প্রাইভেট লিমিটেডে চাকরি করেন।
অপহরণের অভিযোগ আটক আশিকুর রহমান (৩৫) উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামের মিজানুর রহমান খানের ছেলে। তিনি মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানমের ব্যক্তিগত সহকারী বলে জানাগেছে। অবশ্য আশিককে গত জুলাই মাসে ব্যক্তিগত সহকারী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম।
জানাযায়, মঙ্গলবার মেসার্স আর্থ প্রাইভেট লিমিটেডের কাজে মণিরামপুরে আসেন সাজিদ হাসান। এদিন বিকেলে অস্ত্র ঠেকিয়ে আশিকুর রহমানসহ তিন যুবক সাজিদকে অপহরণ করে পৌরশহরের গোহাটা মোড়ের একটি বাড়িতে রাতভর আটকে রাখেন। এসময় তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনা জানাজানি হবার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পৌরশহরের গোহাটা এলাকার একটি বাসা থেকে অপহৃত সাজিদ হাসানকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আশিকুর রহমানকে আটক করে পুলিশ।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কাজল বিশ্বাস জানান, তিনি ২০২২—২৩ অর্থবছরে মণিরামপুর, বাঘারপাড়া ও ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৩৩ জন স্বাস্থ্যকমীর্ নিয়োগের প্রকল্প পান। ইতিমধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সে মোতাবেক সোমবার ঢাকা থেকে বিশেষ কাজে প্রতিষ্ঠানের স্টাফ সাজিদ হোসেনকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.তন্ময় বিশ্বাসের কাছে পাঠান।
বিকেলের পর থেকে তার স্টাফের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে তিনি চিন্তায় পড়েন। রাত ১০টার পর আশিকুর রহমান তার মোবাইলফোনে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এসময় আশিকুর রহমানকে তার স্টাফকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও কাজে আসেনি। এক পর্যায়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ঘটনা জানিয়ে তার স্টাফকে উদ্ধারের অনুরোধ করেন।
ওই রাতেই মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পৌরশহরের গোহাটা এলাকার একটি বাসা থেকে সাজিদ হাসানকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের হাতে আশিকুর রহমান আটক হন।
উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম সাংবাদিকদের জানান, গত জুলাই মাসে আশিকুর রহমানকে পিএস থেকে বাদ দিয়েছেন। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় সাজিদ হাসান বাদি হয়ে আশিকসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।