সমাজের কথা ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে চলমান জাতিগত সংঘাত মোকাবিলায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) সদস্যদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মণিপুর থেকে আসাম রাইফেলসের দুটি ব্যাটালিয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কয়েক দিন পর সহিংসতায় বিধ্বস্ত রাজ্যটিতে সিআরপিএফের ২ হাজার সদস্যের দুটি ব্যাটালিয়ন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির একজন সরকারি কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, বর্তমান সহিংস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলে মোতায়েনকৃত সিআরপিএফের ৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নকে মণিপুরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের লাতেহার থেকে ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নকে সরিয়ে মণিপুরে পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম ইউনিটের সদরদপ্তর হবে কাংভাই আর দ্বিতীয় ইউনিটটি ইম্ফলের আশপাশে অবস্থান করবে।
রাজ্যটিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং এতে প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। দাবি আদায়ে দেওয়া আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এ পরিস্থিতিতে সেখানকার স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে অশান্ত মণিপুরে শান্তি পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন অভ্যন্তরীণ মণিপুরের কংগ্রেস সাংসদ এ বিমল আকোইজাম। মঙ্গলবারের ওই চিঠিতে মণিপুরে ‘অভূতপূর্ব সহিংস সংকট’ নিয়ে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল পদমর্যাদার একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঙ্গলবার দাবি করেছেন, ভারত মণিপুরে কনভেনশনাল ওয়ার বা প্রথাগত যুদ্ধের অস্ত্র সে রাজ্যের স্বল্প প্রশিক্ষিত পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই মারণাস্ত্র ইতোমধ্যে মণিপুর পুলিশের হাতে পৌঁছেছে।