১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা
ভুটানে দুটি ম্যাচই জিততে চান বাংলাদেশ কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক :  আগামী বছর এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা রয়েছে। দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও আছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এর আগেই প্রীতি ম্যাচগুলোর সাফল্যে বাংলাদেশ দলকে উচ্চতায় ওঠাতে চাইছেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। শুরুতেই আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে লড়তে যাচ্ছেন জামাল ভূঁইয়ারা। থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প কিছু ভাবছে না লাল-সবুজ দল। আগামী রবিবার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ গড়াবে একই স্টেডিয়ামে। ভুটানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই জয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশ কোচের।

ভুটানের বিপক্ষে পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের সাফল্য বেশি। ১৪ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশের জয় ১১টি, ড্র দুটি ও হার একটি। এর মধ্যে ২০১৬ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে থিম্পুর মাঠে বাংলাদেশের হারটি খাদের কিনারায় ফেলে দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা থেকে দেড় বছর দূরে ছিল দল।

এবারও খেলা ভুটানের মাঠে। খেলার আগে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দেশটির উচ্চতা, চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামের টার্ফে খেলার সমস্যার পাশাপাশি প্রায় তিন মাস প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে দূরে থাকাসহ প্রস্তুতির কমতি নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তা। কাবরেরা সব বুঝেও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি, আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। ভুটানের খেলোয়াড়দের মতো আমরা মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যায়ে নেই, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতেও আমাদের সময় লেগেছে। তবে আগামী মার্চে যেটা আসছে, পরের বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে, এগুলোর জন্য এই উইন্ডো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খুবই চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।’

শুধু প্রথম ম্যাচ নয়, জিততে চান পরেরটিও। তাই কাবরেরা ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে ম্যাচটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিজের জবানিতে জানিয়েছেন, ‘অবশ্যই এখানে আমরা দুটো ম্যাচ জয়ের জন্য এসেছি। তবে আমাদের আগামী বছরের প্রতিযোগিতাগুলোর জন্য সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরের উইন্ডো গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, অফিসিয়াল টুর্নামেন্টগুলোই আসল, যেগুলো আগামী মার্চে শুরু হবে এবং এ কারণে ভুটানের বিপক্ষে এই ম্যাচগুলোসহ বাকি দুই উইন্ডোকে প্রাধান্য দিচ্ছি। যেন আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি।’

চূড়ান্ত দলে ঠাঁই পাওয়াদের মধ্যে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের আছেন চার জন- মিরাজুল ইসলাম, শাকিল আহাদ তপু, চন্দন রায় ও রাব্বী হোসেন রাহুল। এদের মধ্যে মিরাজুল ও তপু এবারই প্রথম পেয়েছেন সুযোগ। ভুটানের বিপক্ষে এই তরুণদের জন্য মেলে ধরার দারুণ সুযোগ বলে মনে করেন কাবরেরা, ‘আপনারা জানেন, কয়েক সপ্তাহ আগে অনূর্ধ্ব-২০ দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ওই স্কোয়াডের কয়েকজন খেলোয়াড় এই দলে যোগ দিয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন আগেও আমাদের সঙ্গে ছিল, তারা জাতীয় দলের আবহটা জানে। নতুন দুজন যোগ হয়েছে। ফিফা উইন্ডোতে এ ধরণের প্রীতি ম্যাচ তাদের জন্য ইতিবাচক। আমি মনে করি, তাদের জন্য এটাই মেলে ধরার মঞ্চ।’

 

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram