সমাজের কথা ডেস্ক : বসন্ত মানেই রঙের ছড়াছড়ি। শীতের জরাজীর্ণতা কাটিয়ে, ফুলে ফুলে সেজে ওঠার আনন্দময় প্রস্তুতি এখন প্রকৃতিজুড়ে। বসন্তবরণকে ঘিরে শুরু হয় নানা আয়োজন। তবে ঘটনাক্রমে এ বছর ১৪ ফেব্রুয়ারিতে একই সঙ্গে ভালোবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন ও সরস্বতী পূজা! একই দিনে বাঙালি তিনটি উৎসব পালন করবে। এমন উৎসবমুখর দিনে নিজেকেও সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে কে না চায়! জেনে নেই কীভাবে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে পারি।
<<আরও পড়তে পারেন>> চোখের প্রেসার শেষ পর্যন্ত অন্ধত্ব ডেকে আনে
পোশাক: ফাল্গুনে সবাই হলুদ বা সুবজ শাড়িতেই নিজেদের জড়িয়ে রাখতে পছন্দ করে। ভালোবাসা দিবসে আবার অনেকেই লাল পোশাক পরতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে সরস্বতী পূজা মানেই লাল—সাদা শাড়ি। তাই নিজেদের পছন্দের রঙের শাড়ি নির্বাচন করতে পারেন এবারের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে। ছেলেরা সাদা, হলুদ বা লাল রঙের পাঞ্জাবি পরতে পারেন। যেহেতু এখন দিনের বেলায় বেশ গরম পড়ে আর সন্ধ্যার পর হালকা শীত। তাই ভারি পোশাকের বদলে হালকা সুতির পোশাক পরাই আরামদায়ক। শাড়ি, পাঞ্জাবির সঙ্গে শাল রাখতে পারেন সন্ধ্যায় বের হলে।
সাজসজ্জা: পোশাকের সঙ্গে চাই মানানসই সাজ। দিনের বেলা বের হলে হালকা মেকআপ করুন। চোখ সাজাতে হালকা আইশ্যাডো, মাশকারা আর গাঢ় করে আইলাইনার ও কাজল দিতে পারেন। যেহেতু চোখের মেকআপ একটু গাঢ়, তাই সামঞ্জস্য রাখতে ঠোঁটের মেকআপ মিউটেড রাখা ভালো।
চুলের সাজ: খোলা চুল, বেণী কিংবা খোপা, তিনটিই বেশ মানায় শাড়ির সাথে। তবে এদিন ফুলের বাহার সবখানেই। তাই চুলে জড়িয়ে নিতে পারেন একটু ফুল। লাল, হলুদ, সাদা কিংবা আপনার পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে বাছাই করতে পারেন চুলের ফুল।
গয়না: দেশজ উপকরণে তৈরি কাঠ, পুঁতি বা মাটির গহনা পরতে পারেন। কানে বড় দুল পরলে, গলায় কিছু না পরলেও হবে। পরতে চাইলে ছোট পুতির বা মাটির লম্বা মালা পরতে পারেন। শুধু যদি ঘোরার পরিকল্পনা থাকে তাহলে হাত ভরে কাচের রেশমী চুড়ি পরতে পারেন। আর কর্মজীবি নারী বা ছাত্রীরা হাত ভরে চুড়ি না পরে কাঠ, সুতা বা মেটালের মোটা একটা বা দুইটা চুড়ি পরতে পারেন। এতে করে উৎসবের আমেজও বজায় থাকবে আর কাজ করতেও অসুবিধাও হবে না। ছেলেরা পোশাকের সঙ্গে মানানসই হাতঘড়ি বা ব্রেসলেট পরতে পারেন।