নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে। ভাষা ও সাংস্কৃতিতেও আমরা এক বলে মšত্মব্য করেছেন বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশন যশোরে শ্রী রামকৃষ্ণদেবের ১৮৮তম শুভ জন্মতিথি ও রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫তম বর্ষপূতি উৎসবে শেষদিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, চিকিৎসা সেবাসহ নানা সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে রামকৃষ্ণ মিশন। মিশন সারা পৃথিবীতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সাংস্কৃতিক ও কৃষ্টি কালচার নিয়ে কাজ করছে। শুধু এই না; সামাজিক অর্থনৈতিকসহ বিভিন্নভাবে বাংলাদেশ ও ভারত একত্রে কাজ করে যাচ্ছে। এর আগে তিনি রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে আশ্রমের বিবেকানন্দ মেমোরিয়াল হল ও মন্দির পরিদর্শন করেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, রামকৃষ্ণদেব সকল জীবকে ভালবাসতেন। তার কাছে কোন বিশেষ ধর্ম, বর্ণ ও গোষ্ঠির প্রাধান্য ছিল না। সকল জীব তার কাছে সমান ছিল। তিনি ভক্তদের বলতেন জীবের প্রতি দয়া নয়, শীবরূপে সেবা কর।
রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন রামকৃষ্ণদেবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে। সন্ন্যাসীদের আবাসস্থল, অসহায়দের শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরণের সামাজিক কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি ভারত-বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি যতদিন থাকবে তার লক্ষ্যে অবিচল থাকবে।
এসময় হাইকমিশনারের স্ত্রী শ্রীমতি মনু ভার্মা, উপ-হাইকমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশন যশোরের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ। রাতে জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রম্নয়ারি তিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।