ক্রীড়া ডেস্ক : পাকিস্তানকে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে হারানোর পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতকে সতর্ক করেছিলেন। টি-টোয়েন্টি দলের সদস্য জাকির আলী অনিকও মনে করেন, আসন্ন সফরে বাংলাদেশকে হালকাভাবে নেবে না ভারত। বুধবার মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই বলেছেন তি।
পাকিস্তানের মতো দলকে বাংলাদেশ টেস্টে হারিয়ে দেবে-ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও এমনটা ভাবেননি। তাইতো প্রথম টেস্টের পর তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকে জয়ের জন্য কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা সর্বশেষ যখন ভারত সফরে এসেছে, তখনও বলেছিলাম—ওরা ভালো খেলেছে। ওরা টেস্ট খেলার একটা ফর্মুলা খুঁজে পেয়েছে। তাদের ভালো কয়েকজন পেসার আছে। আবার লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞরাও আছে। কিছু তরুণ আছে, যেমন জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম; এরাও ভালো। মিরাজের অভিজ্ঞতাও খুব কাজের।’
পাকিস্তান সিরিজ শেষ হতেই আলোচনায় এবার ভারত সিরিজ। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ। সফরে দুটি টেস্ট ছাড়াও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু হবে এই সফর। বুধবার মিরপুরে অশ্বিনের সুরে সুর মিলিয়ে জাকের আলী অনিক বলেছেন, ‘আমরা এখন ভারত সফরের সাদা বলের সিরিজের জন্য অনুশীলন করেছি। পাকিস্তানের সঙ্গে দারুণ একটা সিরিজ জয় করেছি। এই জয় দারুণ অনুপ্রেরণা আমাদের সবার জন্য। সবাই ভালো খেলেছে। ভারতও এবার আমাদের হালকাভাবে নেবে না। তাদের বাংলাদেশের সিরিজকে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছে ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররাও।’
ভারত সিরিজেও বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য থাকবে দুই ফরম্যাটের সিরিজ জয়। জাকের যেমন বলেছেন, ‘লাল কিংবা সাদা বলে খেলা হোক না কেন। যখন দল বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো পারফর্ম করে, তখন অন্য রকম একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ভারতে জেতার জন্য যাবো। আমাদের মানসিকতাই এখন এমন। ভারত সিরিজে লক্ষ্য থাকবে যেন সেরা সাফল্য অর্জন করে আসতে পারি।’
ব্যাটিংয়ে রান না পেলেও অধিনায়ক হিসেবে শতভাগ মার্কস পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়কের নেতৃত্বে মুগ্ধ তরুণ এই উইকেট কিপার ব্যাটার, ‘আপনারা দেখেছেন শান্ত কত দারুণ অধিনায়কত্ব করেছেন। সিরিজের এই ফলাফলই তার প্রমাণ। শান্ত সিরিজে বেশ কিছু ঝুঁকি নিয়েছেন। আপনি যখন অধিনায়ক হিসাবে ঝুঁকি নেবেন, ফল আপনার পক্ষে আসতেও পারে আবার নাও পারে। তবে বেশির ভাগ সময় ইতিবাচক বিষয়গুলোই ঘটে দলের জন্য। তবু ঝুঁকি নেওয়ার সাহসটাই থাকা উচিত একজন অধিনায়কের। যেটা শান্তর আছে।’
এদিকে, বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে স্থানীয় কোচদের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছেন জাকের, ‘ছোটবেলা থেকেই সোহেল স্যার, বাবুল স্যার আমাদের দেখেছেন। প্রত্যেক ক্রিকেটার সম্পর্কে ওনাদের ভালো ধারণা আছে। প্রভাবও অনেক বেশি। আমার মনে হয় ওনারা আমাদের যেভাবে যত্ন নেন, এই যেমন আজ থেকে আমাদের সাদা বলের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হয়েছে। এভাবে স্টেপ বাই স্টেপ ওনারা আমাদের দেখে রাখেন। তো মনে করি উনাদের ভূমিকাও অনেক বেশি।’